গর্ভবতী মায়ের খাদ্যাভ্যাসে শিশুর অ্যালার্জি ?
গর্ভবতী মায়ের খাদ্যাভ্যাসে শিশুর অ্যালার্জি ?
গর্ভবতী মায়েদের সাথে পেটের সন্তানের সবকিছুই জড়িত। খাবার দাবার এবং চলাচলে হতে হয় অনেক বেশি সাবধান এবং সতর্ক। গর্ভবতী মায়েরা যাকিছু গ্রহণ করে তাই সন্তান গ্রহণ করে থাকে। তাই অনেক কিছুই জেনে শুনে খেতে হয়। যেনতেন খাবার খেলে হতে পারে বিপদ বিপত্তি।
গর্ভবতী মায়েদের খাদ্যাভ্যাসের কারণে কি আসন্ন সন্তানের অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়ে? সারা দুনিয়ায় এ নিয়ে আছে নানা বিভ্রান্তি ও বিতর্ক। আছে নানান কুসংস্কার। অনেক দেশে গর্ভবতী মায়েদের অনেক খাবার খেতে বারণ করা হয় অ্যালার্জির কারণে। আমাদের দেশে মায়েদের গর্ভাবস্থায় বোয়াল মাছ, ডিম, কচু, বেগুন ইত্যাদি খেতে নিষেধ করা হয়। আসলেই
কি তাই ? নাকি অন্য কিছু।
|★| চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় বলছে,
মায়ের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে গর্ভের শিশুর অ্যালার্জির তেমন সম্পর্ক নেই। যদিও অ্যালার্জি বিষয়টি বংশ- গতিবাহিত হতে পারে। মা-বাবা বা আত্মীয় স্বজনের অ্যালার্জি, হাঁপানি, একজিমা ইত্যাদি থাকলেও আগত শিশুদের হতে পারে। তাই সব ক্ষেত্রে সমান তালে চললে হবে না।
|★| শিশুর অ্যালার্জি রোধে মায়ে'র করনীয়
সন্তানের জননী শুধুমাত্র সন্তানের সুস্থতার জন্য কত কিছুই না ত্যাগ করে থাকেন। আগত শিশুর অ্যালার্জির প্রবণতা কমাতে গবেষকেরা যেসব কিছুর উপর বিধিনিষেধ দিয়েছেন সেগুলো পালন করা সকলের জন্য মঙ্গলকর।
● গর্ভাবস্থায় ধূমপান করা যাবে না
● এমনকি ধূমপায়ীর পাশেও থাকা যাবে না
● সব রকমের ক্ষতিকর ওষুধ এড়িয়ে চলতে হবে
● নেশাদ্রব্য ও অ্যালকোহল পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে
● কৃত্রিম রং ও গন্ধযুক্ত খাবার এড়িয়ে থাকতে হবে
● স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
এমন অনেক কিছুই আছে নানা কারণে জন্ম দেয় অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির। গর্ভবতী মায়েদের কুসংস্কার আর গতানুগতিক নিয়মে না চলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। আধুনিক যুগে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমে গেছে, তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার, চলতে হবে দেখেশুনে।
No comments