গর্ভকালীন ৫টি সমস্যা এবং সমাধান
গর্ভকালীন ৫টি সমস্যা এবং সমাধান
গর্ভধারণ করা মোটেও সহজ কাজ নয়। একজন নারী জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় তখনই পার করে। তখন একজন নারীর মানসিক ও শারীরিক অনেক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, যা সহজেই মানিয়ে নেয়া কঠিন। এই সময় প্রয়োজন নারীকে সাহস যুগিয়ে যাওয়া এবং সঠিক যত্ন নেওয়া। এই সময় এমন কিছু সমস্যা দেখা দেয় যা সব নারীদের বেলায় হয়ে থাকে। এগুলো বুঝতে হবে এবং ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে হবে।
|●| গর্ভকালীন পাঁচটি সমস্যা
এই পাঁচটি সমস্যা সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে তাই গর্ভবতী মায়েদের এই সমস্যা গুলো খুব সতর্কতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে।
● সকালে ঘুম থেকে উঠার পর
● পায়ে পানি আসা
● ঘন ঘন প্রস্রাব ধরা
● পেট শক্ত হয়ে আসা
● কোমর ব্যথা করা
|●| সকালে ঘুম থেকে উঠার পর
সকালবেলা বিছানা ছাড়ার পরই প্রচণ্ড বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, মাথা ঘোরানো, এই উপসর্গের নাম মর্নিং সিকনেস। প্রথম সন্তান ধারণের সময় এটি বেশি হয় এবং প্রথম ও দ্বিতীয় মাসেই বেশি দেখা দেয়, তিন মাসের পর সাধারণত এটি সেরে যায়। কিন্তু ২৫ শতাংশ নারীর এই সমস্যা একেবারে নাও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় রক্তে কিছু হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়াই এই সমস্যার আসল কারণ।
এই সমস্যা থেকে রক্ষার উপায় হলো,
● সকালে একবারে বেশি কিছু না খেয়ে অল্প অল্প করে শুকনো খাবার, যেমন টোস্ট বিস্কুট ও আমিষসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
● অতিরিক্ত বমি হলে বা পানিশূন্যতা বা লবণশূন্যতা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
● তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা, যে খাবার দেখলে বা খেলে বমির উদ্রেক হয় সে খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলা।
|●| পায়ে পানি আসা
গর্ভাবস্থায় পায়ে অল্পস্বল্প পানি জমা একদম স্বাভাবিক। এ জন্য আতঙ্কিত হওয়া বা ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ির প্রয়োজন নেই। কেননা এই সমস্যার সমাধান আপনি নিজেই করতে পারেন যেমন,
● বিশ্রাম বা ঘুমের সময় পায়ের নিচে বালিশ রাখতে পারেন।
● বেশিক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকবেন না
● পায়ের নিচে মোড়া বা টুল দিয়ে বসবেন
● খাবারে অতিরিক্ত লবণ একদমই নয়।
|●| ঘন ঘন প্রস্রাব ধরা
আট থেকে ১২ সপ্তাহে এই বিরক্তিকর সমস্যা দেখা দেয়। জরায়ুর আকার বড় হওয়ার কারণে মূত্রথলিতে চাপ সৃষ্টি হয় বলেই এমনটি ঘটে থাকে। কিন্তু ১২ সপ্তাহের পর সেরে গেলেও শেষ দিকে শিশুর মাথা নিচে নামতে শুরু করলে মূত্রথলিতে চাপ দিলে আবার দেখা দেয়। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা তলপেটে ব্যথা না থাকলে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
|●| পেট শক্ত হয়ে আসা
মাঝে মধ্যে পেশির সংকোচনের জন্য পেট শক্ত হয়ে আসে। সাধারণত ব্যথা থাকে না এবং একটু পর নিজেই চলে যায়। তবে ব্যথা যদি থাকে ও তীব্রতা বাড়তে থাকে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোষ্ঠকাঠিন্য বা প্রস্রাবে সংক্রমণ থাকলে চিকিৎসা করুন।
|●| কোমর ব্যথা করা
গর্ভাবস্থায় ৫০ শতাংশ মেয়ে কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হয়। ওজন বৃদ্ধি ও অস্থিসন্ধির শিথিলতা এর জন্য দায়ী। প্রস্রাবে সংক্রমণ বা কোষ্ঠকাঠিন্যও এর কারণ হতে পারে। পা উঁচু করে বিশ্রাম নিলে কিছুটা আরাম পাওয়া যাবে। সঠিক ভাবে শোয়া বা বসা, শক্ত বিছানা ব্যবহার করা, কোমরে মালিশ বা সেঁক দেওয়া এবং বেশি ব্যথা হলে পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।
No comments