মহাবিশ্বঃ মহা বিস্ময়
মহাবিশ্বঃ মহা বিস্ময়
আমারা রাতের আকাশে যে তাঁরা দেখি আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগেও মানুষ সূর্য, তারা, উল্কা, ছায়াপথ, ধূমকেতু ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে তাদের সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করতো । সেই সময় আজকের মত বিজ্ঞান এত উন্নত ছিলনা । ঘড়ি, ক্যালেন্ডার, কম্পাসও ছিলনা । চাঁদ ও সূর্যের চলাচল দেখে দিন, দিক, মাস, সময়, বছর গণনা করা হত।
আকাশ
সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে মোটামুটি উপরের দিকে ১০০০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত যে শূন্যস্থান আছে তাকে আকাশ বলা হয় ।
মহাকাশ
পৃথিবী ছাড়িয়ে রাতের আকাশে তাকালে যতদূর দেখা যায় সেই বিশাল ফাঁকা শূন্যস্থান কে মহাকাশ বলে ।
মহাবিশ্ব
মহাবিশ্বের সমস্ত পদার্থ একটি বালু কণার থেকেও ছোট ছিল । প্রায় ১৪০০ কোটি বছর আগে প্রচুর তাপ ও শক্তি নিয়ে এর প্রসারণ শুরু হয় । সেই সঙ্গে প্রচুর গ্যাসের মহাজাগতিক মেঘ ও ধূলিকণা তৈরি হয় । কোটি কোটি বছর ধরে এই গ্যাস আর মেঘ থেকে তৈরি হয় গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, উল্কা, ধূমকেতু নীহারিকা ইত্যাদি ।
মহাকাশে রয়েছে বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু । এগুলি হল - গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, উল্কা, ধূমকেতু নীহারিকা ইত্যাদি। মহাকাশের পরিসীমা ঠিক কতদূর সেটা মানুষের ধারনার বাইরে ।
মহাবিশ্বের বিস্ময়
বিংশ শতাব্দীতে প্রবেশের শুভলগ্নে জ্যোতির্বিদেরা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন যে মহাবিশ্বে মাত্র একটি গ্যালাক্সি আছে। নাম মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি। সেখানে সূর্যের মতো প্রায় ৪০ হাজার কোটি নক্ষত্র আছে। যদিও আঠরো শতকের ডারবানের টমাস রাইট ও দার্শনিক ইম্যানুয়েল কান্ট প্রত্যেকের মোটামুটি একটি অনুমান ছিল।
অনুমানটি হলো, টেলিস্কোপে দেখা আকাশে সর্পিল প্রভাময় বিন্দুবৎ কাঠামোগুলো আসলে অন্যান্য গ্যালাক্সি। কান্ট স্পষ্টভাবে ধারণা করেছিলেন যে অ্যান্ড্রোমিডা নক্ষত্রপুঞ্জের ভেতর এম১৩ আসলে আরেকটি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি। সেটি বিশালসংখ্যক নক্ষত্র দিয়ে গঠিত।
তাঁরা এগুলোকে ‘দ্বীপ বিশ্ব’ বলে ডাকার প্রস্তাব করেছিলেন। কিছু বিজ্ঞানী ওই ধারণাটি নিয়ে উপহাস করে বললেন, সর্পিল নীহারিকাগুলো হলো দূরবর্তী দ্বীপবিশ্ব নয়, বরং নিকটবর্তী অনেকটা জমাটবদ্ধ আন্তনাক্ষত্রিক গ্যাসীয় মেঘ। সম্ভবত সেখানে অন্যান্য সৌরজগত্ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।
No comments