গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করার নিয়ম এবং উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করার নিয়ম এবং উপকারিতা

Pregnant woman health care


সুস্থ থাকতে ব‍্যায়ারের কোন বিকল্প নেই। জঞ্জালময় ব‍্যস্ত জীবনে ব‍্যায়াম দিতে পারে একটুখানি আনন্দ। যেকোনো সময়, যেকোনো বয়সেই ব‍্যায়াম চালিয়ে যেতে পারেন। এতে আপনার উপকার‌ই হবে,ক্ষতি অন্তত হবে না। মহিলাদের জন্য একটু গুরুত্বারোপ করতেই হয়, কেননা আমাদের দেশের বেশিরভাগ মহিলাগণ গৃহস্থালী কাজকর্মে ব‍্যস্ত থাকেন। আর এতে তেমন সময়‌ও মেলে না, তাই মহিলাগণ একটু বেশীই লক্ষ্য রাখবেন। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের ব‍্যায়াম করা দরকার কিন্তু এই সময়কার ব‍্যায়াম হতে হবে অত্যন্ত নিয়ম মেনে এবং সময় বুঝে।


গর্ভাবস্থায় যত বেশি কর্মক্ষম থাকা যায়, ততই ভালো। কিন্তু তা হবে একদম সাবধানতার সাথে এবং নিয়ম মেনে। চলুন জেনে নিন গর্ভকালীন ব্যায়াম করার নিময় এবং উপকারিতা।
|●| ব্যায়াম শুরুর আগে করনীয়
শুরুর আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার গর্ভাবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। নানা কারণে চিকিৎসক আপনাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলতে পারেন, সে সময় ব্যায়াম করা যাবে না। আপনি যদি আগে থেকেই কিছু হাঁটাহাঁটি বা হালকা ব্যায়ামে অভ্যস্ত থাকেন, তবে তা চালিয়ে নিতে পারেন। তবে পেটের ওপর চাপ পড়ে এমন কোনো ব্যায়াম করা যাবে না।
:●: একজন অভিজ্ঞ ব্যায়াম প্রশিক্ষক, যিনি গর্ভকালীন ব্যায়াম সম্পর্কে জানেন—এমন কারও কাছে পরামর্শ নিতে পারেন।
:●: ব্যায়ামের সময় হালকা ও ঢিলেঢালা আরামদায়ক সুতির পোশাক পরুন। পায়ের জুতা নরম ও মাপমতো হওয়া চাই।
:●: প্রথমে খানিকটা হালকা ধরনের ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন। হাঁপিয়ে ওঠার মতো বা কষ্টকর ব্যায়াম দরকার নেই।
:●: প্রয়োজনে ব‍্যায়ারের গতি কমিয়ে দিন। বেশী অস্বস্তি বা খারাপ লাগলে তখনই ব্যায়াম বন্ধ করে বিশ্রাম নিন।
:●: ব্যায়ামের দুই ঘণ্টা আগে দুই গ্লাস পানি পান করবেন। তার পনের মিনিট পর আরো দুই গ্লাস পানি পান করুন।
:●: ধীরে অবস্থান পরিবর্তন করুন, যেন ভারসাম্য না হারায়। শেষে হালকা হাঁটাহাঁটি করুন, তারপর কিছুটা বিশ্রাম নিন।


|●| হালকা ব্যায়ামের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের এই হালকা ব‍্যায়াম অনেক বেশি উপকারী, ফলদায়ক
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ প্রায় গর্ভবতী মহিলাদের এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তাই হালকা ব‍্যায়াম চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।
:●: মা ও শিশুর মধ্যে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
:●: কোমর, পা ইত্যাদি ব্যথার উপশমে সাহায্য করে, পেশিকে শিথিল করে
:●: কাজে উদ্যম আনে, ফিটনেস বাড়ায়
:●: অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি থেকে বাঁচায়
:●: পরিপূর্ণ ও গভীর ঘুমে সাহায্য করে
:●: কোষ্ঠকাঠিন্য, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি দূর করে
:●: পায়ের রক্তনালি ফুলে ওঠা দূর করে
:●: স্বাভাবিক প্রসবে সাহায্য করে।


|●| নিরাপদ ব্যায়াম, নিরাপদ থাকুন
১ সম্পূর্ণ গর্ভকালীন সময়েই হাঁটাহাঁটি করা যায়। দিনে আধা ঘণ্টা হাঁটাই যথেষ্ট। দিনে পনের মিনিট জগিংও করতে পারেন, বেশি ক্লান্তী লাগলে ধীরে হাঁটুন। এছাড়াও গর্ভাবস্থার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী কিছু যোগব্যায়াম বা আসন আছে, যা প্রশিক্ষকের কাছে শিখে নিতে পারেন। এরআগে গর্ভপাত হওয়ার ইতিহাস থাকলেও ঝুঁকি নেবেন না।




No comments

Powered by Blogger.