মৃত্যুকালীন ঘোষণা কাকে বলে ?
মৃত্যুকালীন ঘোষণা কাকে বলে ?
কোন কোন ব্যক্তি মৃত্যুকালীন ঘোষণা রেকর্ড করতে পারবেন ?
মৃত্যুকালীন ঘোষণা দেওয়ার পর সে যদি প্রাণে বেঁচে যায়, তাহলে উক্ত মৃত্যুকালীন জবানবন্দির আইনগত মূল্য কতটুকু ?
৷★৷ মৃত্যুকালীন ঘোষণা কাকে বলে ?
আসন্ন মৃত্যুর সম্মুখীন কোনো ব্যক্তি তার মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে যে উক্তি করে বা যে কারণে তার মৃত্যু ঘটছে, সেই সম্পর্কে কোনো বিবৃতি প্রদান করাকে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি বলে।
৷★৷ কোন কোন ব্যক্তি মৃত্যুকালীন ঘোষণা রেকর্ড করতে পারবেন ?
কোনো ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ অফিসার, ডাক্তার, নার্স, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রামের মাতব্বর বা মোড়ল, পুলিশের কনস্টেবলসহ চৌকিদারও মৃত্যুকালীন জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেত পারেন।
৷★৷ মৃত্যুকালীন ঘোষণা রেকর্ডে যে পদ্ধতি অবলম্বন করবে !
আসামির সাক্ষ্য প্রমাণের জন্য ও অন্যান্য সাক্ষের মতো মৃত্যুকালীন জবানবন্দি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিযোগ প্রমাণের জন্য তা বিশেষ উপকারে আসে। তাই মৃত্যুকালীন জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করাকালীন সময়ে যে সকল বিষয় বা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তা হচ্ছে,
【1】মৃত্যুকালীন জবানবন্দি বা বিবৃতি লিপিবদ্ধ করার সময়ে কমপক্ষে দুইজন সাক্ষীর সম্মুখে বিবৃতি লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং অবশ্যই সাক্ষীদের স্বাক্ষর নিতে হবে।
【2】বিবৃতি রেকর্ড করার সময় বিবৃতিদাতা যে ভাষায় বিবৃতি প্রদান করবেন, ঠিক সেরূপ ভাষায় লিপিবদ্ধ করতে হবে।
【3】বিবৃতি প্রদান করার সময় বিবৃতি প্রদানের তারিখ ও স্থান পরিষ্কার ভাবে কাগজে উল্লেখ করতে হবে।
【4】বিবৃতিদাতার স্বাক্ষর নিতে হবে। আর যদি স্বাক্ষর নেয়া সম্ভব না হয় তাহলে তার আঙুলের ছাপ নিতে হবে।
৷★৷ জবানবন্দি দেওয়ার পর বেঁচে যায়, তাহলে তার আইনগত মূল্য !
মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেওয়ার পর সে যদি প্রাণে বেঁচে যায়, তাহলে তার মৃত্যুকালীন জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬১ ধারা প্রদত্ত বিবৃতি হিসেবে গণ্য হবে। সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) ধারার অধীনে সেই বিবৃতি আর মৃত্যুকালীন জবানবন্দি হিসেবে আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না।
তবে আদালত প্রদত্ত মৃত্যুকালীন জবানবন্দি সমার্থনের জন্য সাক্ষ্য আইনের ১৫৭ ধারা, পূর্ববর্তী বিবৃতি খণ্ডনের জন্য সাক্ষ্য আইনের ১৪৫ ধারা, ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬১, ১৬২ ধারা এবং পিআরবি ২৬৬ বিধি অনুসারে আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
সূত্র: ইন্টারনেট
No comments