চিরতা'র গুণাগুণ এবং উপকারিতা
চিরতা'র গুণাগুণ এবং উপকারিতা
বৃহস্পতিবার । অক্টোবর । ০৭ । ২০২১ ।
কথায় আছে, চিরতা চিরকালই তিতা। এরচেয়ে তিতা আর হতেই পারে না। অসম্ভব তিতা এই গাছ মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেক স্থানে কালমেঘ নামেও পরিচিত। ডায়াবেটিস রোগীরা খেয়ে থাকেন। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। কিন্তু এর তিক্ততার জন্য সেবন করা কষ্টকর
হলেও উপকারী অপরিসীম। পাতাগুলো গুড়ো করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
৷◆৷ চিরতায় থাকা প্রাকৃতিক গুণাগুণ
চিরতায় থাকা সবচেয়ে উপকারী উপাদানটি হলো,
● অ্যামারোজেন্টি নামক গ্লুকোসাইড।
এর পাশাপাশি আছে আরও দুটি তিক্ত স্বাদযুক্ত উপাদান যেমন,
● অফেলিক এসিড
● চিরাটিন
এছাড়াও নানা প্রকার অ্যালকালয়েড ও ট্রাইতারপিনয়েড বিদ্যমান।
চিরতায় থাকা বিভিন্ন জ্যান্থোনস, স্টেরল, লিগন্যান প্রভৃতি উপাদান এর ভেষজ গুণাবলি ও উপকারীতা তো রয়েছেই।
৷◆৷ চিরতা'র উপকারিতা সমূহ
তিরতা আমাদেরকে প্রাকৃতিক উপায়ে স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। প্রাকৃতিক গুণে ভরা এই গাছ আমাদের অনেক উপকারে আসে। তাই এর উপকারিতা গুলো আমাদেরকে জেনে রাখা ভালো।
【1】এ্যালার্জি চুলকানি সারায়
শরীরে চুলকানি জনিত সমস্যা থাকলে বিশ থেকে পঁচিশ গ্রাম চিরতা নিন। এতে সামান্য পানি ছিটিয়ে বেটে বা ব্লেন্ডার দিয়ে পেস্ট করে নিন। একটি লোহার কড়াই'য়ে একশত গ্রাম সরিষার তেল গরম করে ফুটন্ত তেলে ভেজে তেল ছেকে নিন। চুলকানোর জায়গায় আস্তে আস্তে মালিশ করুন।
【2】ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
ছোট থেকে বয়স্ক সকল বয়সী মানুষের ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে মোথা বা স্থুলকায় ও বয়স্কদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বেশী। চিরতা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে।
【3】ক্যান্সার প্রতিরোধে করে
চিকিৎসকদের গবেষণায় পাওয়া গেছে, নিয়মিত চিরতার রস খেলেয়, দেহে ক্যান্সারের জীবাণু খুব সহজেই ঢুকতে পারে না। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার রুখতে চিরতা অনেক উপকারী।
【4】হাঁপানি'র সমস্যা দূর করে
যাদের এজমা বা হাঁপানি জাতীয় রোগ আছে তাদের জন্য চিরতা অনেক উপকারী। আধা গ্রাম চিরতার গুঁড়ো তিন ঘণ্টা অন্তর মধুসহ চেঁটে খেলে হাঁপানি দূর হয়। এর জন্য দুই তিন দিন এভাবে চিরতা খেতে হবে।
【5】হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
পাকস্থলির সুস্থতায় চিরতা দারুণ কার্যকর। এর তেতো স্বাদ বদহজম, গ্যাস, আলসার ইত্যাদি সমস্যা দূর করে হজম প্রক্রিয়া সচল রাখে। দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পাকস্থলির সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।
মনে রাখবেন !
সর্বকালের তিতা গাছ হিসেবে স্বীকৃত চিরতা। কিন্তু স্বাদে তিতা হলেও গুণে অত্যন্ত উপকারী। তাই তিক্ততার কথা ভুলে প্রাকৃতিক সুরক্ষায় মনোযোগী হওয়াই হবে বুদ্ধিমান এর কাজ। কেননা প্রাকৃতিক সুরক্ষা আর চিকিৎসায় কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এবং সহজেই গ্রহণ করা যায়।
সংকলক, লেখক: A N I
THANK YOU ALL.
No comments