মোজা'র উপর মাসেহ্ করার বিধি-বিধান
মোজা'র উপর মাসেহ্ করার বিধি-বিধান
|●| পটভূমি
প্রিয় ধর্মের নিয়ম কানুন গুলো অত্যন্ত সুন্দর। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সবগুলো বিধিমালা প্রয়োগ করা হয়েছে। জোরাজুরি করা কিংবা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া ইসলাম ধর্ম সমর্থন করে না। এতো সুন্দর সাজানো গোছানো বিধিমালা আর কোন ধর্মের নেই। আজ আলোচনা হবে মোজার উপর মাসেহ্ করার নিয়ম সম্পর্কে। এর ব্যপারে সুস্পষ্ট বিধি-বিধান এবং আপনার করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হবে।
|●| মোজা'র উপর মাসেহ করার বিধান
চামড়া, পশম, কাতান, প্রভৃতির পায়ের এমন মোটা মোজা, যা অন্ততঃ পায়ের টাখনু গিরা ঢাকা হবে এবং বাধা ছাড়াই পায়ের উপর খাড়া থাকতে পারে এবং এমন হবে, যা পায়ে দিয়ে অন্ততঃ তিন মাইল হাঁটা যাবে তাতে ফাঁটবে না এবং যা ভেদ করে পানি ভিতরে ঢুকবে না এবং যা দিয়ে পায়ের চামড়া দেখা যাবে না- এমন মোজার উপর মাসেহ করা জায়েয।
আমদের দেশের কাপড়ের তৈরী মোজার উপর মাসাহ করা জায়িয হবে না। কেননা এগুলো সহজেই খোলা যায় এবং পরা যায়। তাই এই মোজার উপর মাসেহ্ করার বিধান কার্যকর হবে না।
|●| মোজার উপর মাসেহ্ করার নিয়ম
মোজার উপর মাসেহ করার পদ্ধতি হলো, ভেজা হাতের আঙ্গুল সমূহ মোজার সামনের দিকে টেনে নিয়ে একবার মাসেহ্ করে নিবে। ডান পায়ে ডান হাত দ্বারা এবং বাম পায়ে বাম হাত দ্বারা মাসেহ্ করবে।
|●| মোজার উপর মাসেহ্ করার সময়সীমা
শরীয়ত বর্ণিত সফরের অবস্থায় তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত এবং এরূপ সফর না হলে এক দিন এক রাত পর্যন্ত মাসেহ্ করা যায়। যে ওযূ করে মোজা পরিধান করা হবে সে ওযূ ভঙ্গ হওয়ার সময় থেকে এই তিন দিন তিন রাত ও এক দিন এক রাতের হিসাব ধরা হবে।
মনে রাখবেন !
ওযূ থাকা অবস্থায় উভয় বা একটি পায়ের মোজা খুলে গেলে ওযূ ভাঙ্গবে না, তবে এতে মাসেহ্ ভেঙ্গে যাবে। এরূপ অবস্থায় শুধু পা ধুয়ে আবার মোজা পরিধান করে নিলেই চলবে। পুরো ওযূ পূণরায় করার প্রয়োজন হবে না। কেননা আপনার মাসেহ্ ভেঙ্গেছে, ওযূ ভাঙ্গেনি।
সংকলক, লেখক: A N I
THANK YOU ALL.
No comments