বনধনে গাছের গুণাগুণ এবং উপকারিতা
বনধনে গাছের গুণাগুণ এবং উপকারিতা
পেটের ব্যথা ও ডায়রিয়ার ওষুধে কার্যকর। ঘা-পাঁচড়ার ক্ষেত্রে পাতার মিশ্রণ লাগানো হয়। এটি প্রাকৃতিক ভাবেই গড়ে তোলে সুরক্ষার দেয়াল।
এর পাতা, ফল, গাছ সবটুকুই কাজে লাগানো যায়। বনধনের তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে পরিমাণে একটু কম দিলেই চলবে
এছাড়া আর কোন সমস্যা না হওয়ার কথা।
|●| বনধনে গাছের পরিচিতি
বনধনে, মিশ্রি দানা
ইংরেজি নাম: scoparia-weed অথবা sweet-broom
বৈজ্ঞানিক নাম: scoparia dulcis
গোত্রের নাম: scrophulariaceae
এই বনধনে গাছকে আরো অনেক নামে জানা যায় যেমন, ফুরফুরি, বনধুনি, বন ধনীয়া, বন্দনী, মিডালি, ইত্যাদি।
|●| বনধনে'র গুণাগুণ এবং উপকারিতা সমূহ
বনধনে গাছ আমাদের অনেক উপকারে আসে। প্রাকৃতিক সুরক্ষায় এর ভূমিকা অপরিসীম। যেমন,
● বনধনে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
● এর রস আমাশয়ে ভালো কাজ দেয়। তবে বয়স যত কম হবে রস তত পাতলা করে নিতে হবে। রসের পরিমাণ এক চা চামচ পরপর তিন দিন।
মুখে ঘা হলে পাতা চিবালে ঘা ভালো হয়ে যায়
● ব্রাজিলে এটি অর্শরোগে ব্যবহৃত হয়
● নাইজেরিয়াতে sickle-cell disease এ ব্যবহৃত হয়
● মারমা উপজাতিরা শ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন শিশুদের বা ক্ষুধামন্দা দূর করার জন্য এর পাতা,ফল ও শেকড় খেয়ে থাকে।
● খাসিয়া উপজাতিরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে বাচ্চাদের গাছের রস দুই ফোটা খেতে দেয়।
● মুরং উপজাতিরা জ্বর,রক্ত-আমাশয় ও ম্যালেরিয়া জ্বরে এর পাতার রস দুই চা চামচ করে সকালে এবং বিকালে সাত দিন খাওয়ানো হয়।
● নরসিংদী জেলায় গ্যাস্ট্রিক, আলসার রোগের চিকিৎসায় পাতার রস ব্যবহার করে।
● কুড়িগ্রাম জেলায় চোখে রক্ত জমাট বাঁধলে এর চিকিৎসায় পাতার রস দিনে দুইবার ব্যবহার করা হয়।
● বগুড়া জেলায় জ্বর,গনোরিয়া, মাথাব্যথা, জন্ডিস, ডায়াবেটিস, আমাশয়, কানব্যাথায় এর ব্যবহার হয়।
● টাঙ্গাইল জেলায় আমাশয় রোগে গুঁড়ের সাথে মিশিয়ে পাতার রস খাওয়া হয়।
মনে রাখবেন !
আমাদের যা কিছু দেয়, দু'হস্ত প্রসার করেই দেয়। হাজার বছরের সাধনায় অনেকেই তা সামনে নিয়ে আসেন মানবতার সেবায়,মানবতার কল্যাণে। তাই প্রাকৃতিক চিকিৎসাকে অগ্রাহ্য করার কোন সুযোগ নেই।
কাজেই আমাদের আরো মনোযোগী হতে হবে। এইসব ঔষধি গাছপালা সুরক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সংকলক, লেখক: A N I
THANK YOU ALL.
No comments