কোরবানির ঈদ । ইতিহাস । আমল ।
A N I
ANOWAR NURUL ISLAM
ANOWAR NURUL ISLAM
EID AL ADHA | কোরবানির ঈদ |
★ SHORT STORY | সংক্ষিপ্ত ইতিহাস |
যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের সঠিক পথে চালিত করার জন্য আল্লাহ তাআলা তার অতি পছন্দের একজন প্রতিনিধি প্রেরণ করে থাকেন।
এই প্রতিনিধিদের বলা হয় নবী আর রাসূল । তাদের মধ্যে আল্লাহর অতি ভালোবাসার একজন প্রেরিত পুরুষ হযরত ইব্রাহীম (আঃ) । অনেক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ হযরত ইব্রাহীম আঃ কে তার প্রিয় বস্তু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দিতে বলেন, অনেক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হযরত ইব্রাহীম আঃ বুঝতে পারবেন যে আল্লাহ তাআলা হযরত ইব্রাহীম আঃ এর অতি আদরের পুত্র হযরত ইসমাইল আঃ কে কোরবানি করতে বলছেন ,কেননা এই হযরত ইসমাইল আঃ ছিল ইব্রাহীম আঃ এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং আদরের বস্তু । অনেক প্রার্থনা আর ইবাদতের পর আল্লাহ বৃদ্ধ বয়সে হযরত ইব্রাহীম আঃ কে একটি পুত্র সন্তান দান ক byরেন ,আর তিনিই হলেন হযরত ইসমাইল আঃ । এত এত আদরের পুত্র হওয়া শর্তেও যখনই হযরত ইব্রাহীম আঃ বুঝতে পারেন যে আল্লাহ তাআলা হযরত ইসমাইল আঃ কে কোরবান দিতে বলছেন তখনই আর কালবিলম্ব না করে নিজের প্রিয় সন্তান কে আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি দিতে নিয়ে যান । কিন্তু এতো মধ্যেই হযরত ইব্রাহীম আঃ এর এই ত্যাগ আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায় । তখনই আল্লাহ ইসমাইল আঃ এর বদলে বেহেশত থেকে একটি দুম্বা পাঠিয়ে দেন , পরে সেই থেকেই আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি বিধান চালু হয় ,যা আমাদের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত চলে আসে ,তবে এই কোরবানির সঠিক নিতি নিয়ম রয়েছে । ঢালাও ভাবে byসকলের উপর বা সকল পশু দ্বারা বা সকল পয়সা উপার্জন দ্বারা কোরবানি ফরজ নয় । তাই এই নিয়ম মেনে কোরবানি করতে হবে ।
ইসলাম ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর মধ্যে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
তাই খুব সর্তক থাকতে হবে ।
এই প্রতিনিধিদের বলা হয় নবী আর রাসূল । তাদের মধ্যে আল্লাহর অতি ভালোবাসার একজন প্রেরিত পুরুষ হযরত ইব্রাহীম (আঃ) । অনেক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ হযরত ইব্রাহীম আঃ কে তার প্রিয় বস্তু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দিতে বলেন, অনেক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হযরত ইব্রাহীম আঃ বুঝতে পারবেন যে আল্লাহ তাআলা হযরত ইব্রাহীম আঃ এর অতি আদরের পুত্র হযরত ইসমাইল আঃ কে কোরবানি করতে বলছেন ,কেননা এই হযরত ইসমাইল আঃ ছিল ইব্রাহীম আঃ এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং আদরের বস্তু । অনেক প্রার্থনা আর ইবাদতের পর আল্লাহ বৃদ্ধ বয়সে হযরত ইব্রাহীম আঃ কে একটি পুত্র সন্তান দান ক byরেন ,আর তিনিই হলেন হযরত ইসমাইল আঃ । এত এত আদরের পুত্র হওয়া শর্তেও যখনই হযরত ইব্রাহীম আঃ বুঝতে পারেন যে আল্লাহ তাআলা হযরত ইসমাইল আঃ কে কোরবান দিতে বলছেন তখনই আর কালবিলম্ব না করে নিজের প্রিয় সন্তান কে আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি দিতে নিয়ে যান । কিন্তু এতো মধ্যেই হযরত ইব্রাহীম আঃ এর এই ত্যাগ আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায় । তখনই আল্লাহ ইসমাইল আঃ এর বদলে বেহেশত থেকে একটি দুম্বা পাঠিয়ে দেন , পরে সেই থেকেই আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি বিধান চালু হয় ,যা আমাদের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত চলে আসে ,তবে এই কোরবানির সঠিক নিতি নিয়ম রয়েছে । ঢালাও ভাবে byসকলের উপর বা সকল পশু দ্বারা বা সকল পয়সা উপার্জন দ্বারা কোরবানি ফরজ নয় । তাই এই নিয়ম মেনে কোরবানি করতে হবে ।
ইসলাম ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলোর মধ্যে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
তাই খুব সর্তক থাকতে হবে ।
★ যে সব পশু কোরবানি করা যাবে ।
ইসলামের বিধান মতে, অত্যন্ত সবল ও শক্তিশালী এবং রোগগ্রস্থ নয় এমন পশু কোরবানী করতে হবে। নিম্নলিখিত তার একটি তালিকা দেয়া হয়েছে ।
ইসলামের বিধান মতে, অত্যন্ত সবল ও শক্তিশালী এবং রোগগ্রস্থ নয় এমন পশু কোরবানী করতে হবে। নিম্নলিখিত তার একটি তালিকা দেয়া হয়েছে ।
【1】 গরু, ছাগল, উট ও দুম্বা এই কয় প্রকার গৃহপালিত পশু দ্বারা কোরবানী করা জায়েজ। এগুলো ব্যতিত অন্য পশু যত মূল্যবানই হোক, তা দিয়ে কোরবানী জায়েজ হবেনা।
【2】 ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে পূর্ণ এক বৎসর বয়সের হতে হবে।
【3】 বয়স যদি কিছু কমও হয় কিন্তু এমন মোটা তাজা যে, এক বৎসর বয়সীদের মধ্যে ছেড়ে দিলেও তাদের চেয়ে ছোট মনে হয় না, তাহলে তার দ্বারা কোরবানী জায়েজ আছে।
【4】 বকরী কোন অবস্থায় এক বৎসরের কম হলে চলবে না।
【5】 গরু ও মহিষের বয়স কম পক্ষে ২ বৎসর হতে হবে।
【6】 উট এর বয়স কমপক্ষে ৫ বৎসর হতে হবে।
【7】 কোরবানীর পশু ভাল এবং হূষ্টপুষ্ট হওয়াই উত্তম।
【8】 যে প্রাণী লেংড়া অর্থ্যাৎ যা তিন পায়ে চলতে পারে-এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা রাখতে পারলেও ভর করতে পারে না এমন পশু দ্বারা কোরবানী হবে না।
【9】 যে পশুর একটিও দাঁত নেই তার দ্বারা কোরবানী হবে না।
【10】 যে পশুর কান জন্ম হতে নেই সে পশুদ্বারা কোরবানী জায়েয নয়।
【11】 যে পশুর শিং মূল থেকে ভেঙ্গে যায় তা দ্বারা কোরবানী বৈধ নয়। তবে শিং উঠেইনি বা কিছু পরিমাণ ভেঙে গিয়েছে এমন পশু দ্বারা কোরবানী জায়েজ আছে।
【12】 যে পশুর উভয় চোখ অন্ধ বা একটি চোখের দৃষ্টি শক্তি এক তৃতীয়াংশ বা তার বেশি নষ্ট তা দ্বারা কুরবানি জায়েজ নেই।
【13】 যে পশুর একটি কান বা লেজের এক তৃতীয়াংশ কিংবা তার চেয়ে বেশি কেটে গিয়েছে তা দ্বারা কুরবানি সঙ্গত নয়।
【14】 অতিশয় কৃশকায় ও দুর্বল পশু দ্বারা কোরবানী বৈধ নয়।
【15】 ভাল পশু ক্রয় করার পর এমন দোষ ত্রুটি দেখা দিয়েছে যার কারণে কোরবানী দুরস্ত হয় না-এরূপ হলে সেটিই কোরবানী দেয়া দুরস্ত হবে।
【2】 ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে পূর্ণ এক বৎসর বয়সের হতে হবে।
【3】 বয়স যদি কিছু কমও হয় কিন্তু এমন মোটা তাজা যে, এক বৎসর বয়সীদের মধ্যে ছেড়ে দিলেও তাদের চেয়ে ছোট মনে হয় না, তাহলে তার দ্বারা কোরবানী জায়েজ আছে।
【4】 বকরী কোন অবস্থায় এক বৎসরের কম হলে চলবে না।
【5】 গরু ও মহিষের বয়স কম পক্ষে ২ বৎসর হতে হবে।
【6】 উট এর বয়স কমপক্ষে ৫ বৎসর হতে হবে।
【7】 কোরবানীর পশু ভাল এবং হূষ্টপুষ্ট হওয়াই উত্তম।
【8】 যে প্রাণী লেংড়া অর্থ্যাৎ যা তিন পায়ে চলতে পারে-এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা রাখতে পারলেও ভর করতে পারে না এমন পশু দ্বারা কোরবানী হবে না।
【9】 যে পশুর একটিও দাঁত নেই তার দ্বারা কোরবানী হবে না।
【10】 যে পশুর কান জন্ম হতে নেই সে পশুদ্বারা কোরবানী জায়েয নয়।
【11】 যে পশুর শিং মূল থেকে ভেঙ্গে যায় তা দ্বারা কোরবানী বৈধ নয়। তবে শিং উঠেইনি বা কিছু পরিমাণ ভেঙে গিয়েছে এমন পশু দ্বারা কোরবানী জায়েজ আছে।
【12】 যে পশুর উভয় চোখ অন্ধ বা একটি চোখের দৃষ্টি শক্তি এক তৃতীয়াংশ বা তার বেশি নষ্ট তা দ্বারা কুরবানি জায়েজ নেই।
【13】 যে পশুর একটি কান বা লেজের এক তৃতীয়াংশ কিংবা তার চেয়ে বেশি কেটে গিয়েছে তা দ্বারা কুরবানি সঙ্গত নয়।
【14】 অতিশয় কৃশকায় ও দুর্বল পশু দ্বারা কোরবানী বৈধ নয়।
【15】 ভাল পশু ক্রয় করার পর এমন দোষ ত্রুটি দেখা দিয়েছে যার কারণে কোরবানী দুরস্ত হয় না-এরূপ হলে সেটিই কোরবানী দেয়া দুরস্ত হবে।
★ কাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব, কাদের ওপর নয়।
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যে যার সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। জমে উঠেছে পশুর হাট। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এই বিধান শীথিল করা হয়েছে। অর্থাৎ, কিছু মানুষের জন্য কোরবানি ওয়াজিব নয়। আসুন জেনে নিই কাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব, কাদের ওপর নয়।
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যে যার সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। জমে উঠেছে পশুর হাট। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এই বিধান শীথিল করা হয়েছে। অর্থাৎ, কিছু মানুষের জন্য কোরবানি ওয়াজিব নয়। আসুন জেনে নিই কাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব, কাদের ওপর নয়।
【1】 কোরবানির দিনগুলোতে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি সোনা, সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি রুপা বা ওই পরিমাণ রুপার সমমূল্যের নগদ অর্থ অথবা বর্তমানে বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজনাতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও প্রয়োজনাতিরিক্ত অন্য আসবাবপত্রের মালিক হলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। (মাবসূতে সারাখসী ১২/৮, রদ্দুল মুহতার ৬/৬৫)
【2】 সোনা বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজনাতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের হয়ে যায় তাহলেও তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। যেমন কারো নিকট কিছু স্বর্ণ ও কিছু টাকা আছে, যা সর্ব মোট সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার মূল্যের সমান হয় তাহলে তার ওপরও কোরবানি ওয়াজিব। (রদ্দুল মুহতার ৫/২১৯)
উল্লেখ্য যে, কোরবানির নেসাব পূর্ণ হওয়ার জন্য যাকাতের ন্যায় সম্পদের ওপর বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়, শুধু কোরবানির তিন দিন নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়াই যথেষ্ট। এমনকি ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্বক্ষণেও নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে গলে কুরবানি ওয়াজিব হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬২)
【3】 প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মুসলিম নর-নারী, যে যিলহজ মাসের ১০ তারিখ সুবহে সাদিকের সময় থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনাতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে এবং ওই ব্যক্তি উক্ত তিন দিন সময়ে মুসাফিরও না হয়, তবে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৩)
【4】 নাবালেগ শিশু-কিশোর ও অসুস্থ মস্তিষ্ক ব্যক্তি নেসাবের মালিক হলেও তাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়। হ্যাঁ, তাদের অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষ থেকে নফল কোরবানি করতে পারবে। (রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬)
【5】 শিশু-কিশোরদের সম্পদ থেকে কোরবানি করা হলে তা থেকে কেবল সে-ই খেতে পারবে, অন্য কেউ তা খেতে পারবে না। (আদ্দুরুল মুখতার মাআর রাদ্দিল মুহতার ৬/৩১৭)
【6】 কোরবানির দিনগুলোতে মুসাফির থাকলে (অর্থাৎ ৪৮ মাইল বা প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়্যাতে যে ব্যক্তি নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে) তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয় না। ১২ যিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বমুহূর্তে মুকীম হলেও সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে। ( ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৪, বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৩)
【7】 কোরবানির সময়ের প্রথম দিন মুসাফির থাকলেও পরে তৃতীয় দিন কোরবানির সময় শেষ হওয়ার পূর্বে মুকীম হয়ে গেলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে প্রথম দিনে মুকীম ছিল অতঃপর তৃতীয় দিনে মুসাফির হয়ে গেছে তাহলেও তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব থাকবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৩, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৯)
【8】 হাজি সাহেবানদের মধ্যে যারা কোরবানির দিনগুলোতে মুসাফির থাকবেন, তাঁদের ওপর ঈদুল আযহার কোরবানি ওয়াজিব নয়। কিন্তু যে হাজি কোরবানির কোনো দিন মুকীম থাকবেন, সামর্থ্যবান হলে তাঁর ওপর ঈদুল আযহার কোরবানি করা ওয়াজিব হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৩, আদ্দুররুল মুখতার মাআর রাদ্দিল মুহতার ৬/৩১৫)
【9】 একান্নভুক্ত পরিবারের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তাদের প্রত্যেকের ওপর ভিন্ন ভিন্ন কোরবানি ওয়াজিব হবে। (কিফায়াতুল মুফতী ৮/১৭
【10】 দরিদ্র ব্যক্তি যে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নয় তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব নয়; তবে সে কোরবানির নিয়্যাতে পশু খরিদ করলে ওই পশুটি কোরবানি করা তার ওপর ওয়াজিব হয়ে যায়। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬২)
【11】 কোরবানি সম্পূর্ণ হালাল সম্পদ থেকে করতে হবে। হারাম টাকা দ্বারা কোরবানি করা সহীহ নয় এবং এ ক্ষেত্রে অন্য শরীকদের কোরবানিও সহীহ হবে না। (আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৫০৩)
【12】 কোরবানির পশু চুরি হয়ে গেলে বা মরে গেলে ধনী ব্যক্তির আরেকটি পশু কোরবানি করতে হবে। গরিব (যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়) হলে তার জন্য আরেকটি কোরবানি করা ওয়াজিব নয়। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯)
【2】 সোনা বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজনাতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমমূল্যের হয়ে যায় তাহলেও তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। যেমন কারো নিকট কিছু স্বর্ণ ও কিছু টাকা আছে, যা সর্ব মোট সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার মূল্যের সমান হয় তাহলে তার ওপরও কোরবানি ওয়াজিব। (রদ্দুল মুহতার ৫/২১৯)
উল্লেখ্য যে, কোরবানির নেসাব পূর্ণ হওয়ার জন্য যাকাতের ন্যায় সম্পদের ওপর বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়, শুধু কোরবানির তিন দিন নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়াই যথেষ্ট। এমনকি ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্বক্ষণেও নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে গলে কুরবানি ওয়াজিব হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬২)
【3】 প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মুসলিম নর-নারী, যে যিলহজ মাসের ১০ তারিখ সুবহে সাদিকের সময় থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনাতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে এবং ওই ব্যক্তি উক্ত তিন দিন সময়ে মুসাফিরও না হয়, তবে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৩)
【4】 নাবালেগ শিশু-কিশোর ও অসুস্থ মস্তিষ্ক ব্যক্তি নেসাবের মালিক হলেও তাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়। হ্যাঁ, তাদের অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষ থেকে নফল কোরবানি করতে পারবে। (রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৬)
【5】 শিশু-কিশোরদের সম্পদ থেকে কোরবানি করা হলে তা থেকে কেবল সে-ই খেতে পারবে, অন্য কেউ তা খেতে পারবে না। (আদ্দুরুল মুখতার মাআর রাদ্দিল মুহতার ৬/৩১৭)
【6】 কোরবানির দিনগুলোতে মুসাফির থাকলে (অর্থাৎ ৪৮ মাইল বা প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়্যাতে যে ব্যক্তি নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে) তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয় না। ১২ যিলহজ সূর্যাস্তের পূর্বমুহূর্তে মুকীম হলেও সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে। ( ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৪, বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৩)
【7】 কোরবানির সময়ের প্রথম দিন মুসাফির থাকলেও পরে তৃতীয় দিন কোরবানির সময় শেষ হওয়ার পূর্বে মুকীম হয়ে গেলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে প্রথম দিনে মুকীম ছিল অতঃপর তৃতীয় দিনে মুসাফির হয়ে গেছে তাহলেও তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব থাকবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬৩, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৯)
【8】 হাজি সাহেবানদের মধ্যে যারা কোরবানির দিনগুলোতে মুসাফির থাকবেন, তাঁদের ওপর ঈদুল আযহার কোরবানি ওয়াজিব নয়। কিন্তু যে হাজি কোরবানির কোনো দিন মুকীম থাকবেন, সামর্থ্যবান হলে তাঁর ওপর ঈদুল আযহার কোরবানি করা ওয়াজিব হবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৩, আদ্দুররুল মুখতার মাআর রাদ্দিল মুহতার ৬/৩১৫)
【9】 একান্নভুক্ত পরিবারের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তাদের প্রত্যেকের ওপর ভিন্ন ভিন্ন কোরবানি ওয়াজিব হবে। (কিফায়াতুল মুফতী ৮/১৭
【10】 দরিদ্র ব্যক্তি যে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নয় তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব নয়; তবে সে কোরবানির নিয়্যাতে পশু খরিদ করলে ওই পশুটি কোরবানি করা তার ওপর ওয়াজিব হয়ে যায়। (বাদায়েউস সানায়ে ৫/৬২)
【11】 কোরবানি সম্পূর্ণ হালাল সম্পদ থেকে করতে হবে। হারাম টাকা দ্বারা কোরবানি করা সহীহ নয় এবং এ ক্ষেত্রে অন্য শরীকদের কোরবানিও সহীহ হবে না। (আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৫০৩)
【12】 কোরবানির পশু চুরি হয়ে গেলে বা মরে গেলে ধনী ব্যক্তির আরেকটি পশু কোরবানি করতে হবে। গরিব (যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়) হলে তার জন্য আরেকটি কোরবানি করা ওয়াজিব নয়। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯)
★ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ।
আলেমগণ কোরবানীর হুকুম নিয়ে মতভেদ করেছেন: কোরবানী করা কি ওয়াজিব যা পালন না করলে গুনাহ হবে; নাকি সুন্নতে মুয়াক্কাদা যা বর্জন করাটা নিন্দনীয়?
বিশুদ্ধ মতানুযায়ী কোরবানী করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা।
আলেমগণ কোরবানীর হুকুম নিয়ে মতভেদ করেছেন: কোরবানী করা কি ওয়াজিব যা পালন না করলে গুনাহ হবে; নাকি সুন্নতে মুয়াক্কাদা যা বর্জন করাটা নিন্দনীয়?
বিশুদ্ধ মতানুযায়ী কোরবানী করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা।
কারো জন্য কোরবানী ওয়াজিব হওয়া কিংবা সুন্নত হওয়ার জন্য কোরবানীকারীকে ধনী হওয়া শর্ত। অর্থাৎ তার নিজের খরচপাতি ও সে যাদের খরচ চালায় তাদের খরচপাতির অতিরিক্ত তার কাছে কোরবানী করার অর্থ থাকা। অতএব, কোন মুসলমানের যদি মাসিক বেতন বা আয় থাকে এবং এ বেতন দিয়ে তার খরচ চলে যায়, এর অতিরিক্ত তার কাছে কোরবানীর পশু কেনার অর্থ থাকে তাহলে সে ব্যক্তি কর্তৃক কোরবানী দেয়ার শরয়ি বিধান রয়েছে।
কোরবানী করার জন্য ধনী হওয়া শর্ত মর্মে দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “যে ব্যক্তির সামর্থ্য আছে অথচ সে কোরবানী করেনি সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়”[সুনানে ইবনে মাজাহ (৩১২৩), আলবানী ‘সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ’ গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন] এখানে সামর্থ্য দ্বারা উদ্দেশ্য ধনী হওয়া।
কোরবানী করার জন্য ধনী হওয়া শর্ত মর্মে দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “যে ব্যক্তির সামর্থ্য আছে অথচ সে কোরবানী করেনি সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়”[সুনানে ইবনে মাজাহ (৩১২৩), আলবানী ‘সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ’ গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন] এখানে সামর্থ্য দ্বারা উদ্দেশ্য ধনী হওয়া।
প্রতিটি পরিবারের পক্ষ থেকে কোরবানী দেয়ার বিধান রয়েছে। দলিল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “প্রতিটি পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর একটি কোরবানী দেয়া ওয়াজিব”[মুসনাদে আহমাদ (২০২০৭)] ইবনে হাজার ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে বলেন: হাদিসটির সনদ মজবুত। আলবানী ‘সহিহ সুনানে আবু দাউদ গ্রন্থে (২৭৮৮) হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন]
এ বিধানের ক্ষেত্রে পুরুষ বা নারীর কোন ভেদ নেই। অতএব, কোন নারী যদি একাকী বসবাস করেন কিংবা তাঁর সন্তানদেরকে নিয়ে থাকেন তাহলে তাদেরকে কোরবানী করতে হবে।
আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা গ্রন্থে (৫/৮১) এসেছে-
“কোরবানী ওয়াজিব হওয়া কিংবা সুন্নত হওয়ার জন্য পুরুষ হওয়া শর্ত নয়। কোরবানী পুরুষদের উপর যেমন ওয়াজিব হয় তেমনি নারীদের উপরও ওয়াজিব হয়। কারণ ওয়াজিব হওয়ার দলিলগুলো নর-নারী সবাইকে সমানভাবে শামিল করে।”
দেখুন: আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা (৫/৭৯-৮১)]
এ বিধানের ক্ষেত্রে পুরুষ বা নারীর কোন ভেদ নেই। অতএব, কোন নারী যদি একাকী বসবাস করেন কিংবা তাঁর সন্তানদেরকে নিয়ে থাকেন তাহলে তাদেরকে কোরবানী করতে হবে।
আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা গ্রন্থে (৫/৮১) এসেছে-
“কোরবানী ওয়াজিব হওয়া কিংবা সুন্নত হওয়ার জন্য পুরুষ হওয়া শর্ত নয়। কোরবানী পুরুষদের উপর যেমন ওয়াজিব হয় তেমনি নারীদের উপরও ওয়াজিব হয়। কারণ ওয়াজিব হওয়ার দলিলগুলো নর-নারী সবাইকে সমানভাবে শামিল করে।”
দেখুন: আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা (৫/৭৯-৮১)]
★ বন্টন ।
কোরবানির পশুর মাংস তিন ভাগে ভাগ করতে হবে । এক ভাগ গরীব এতিম
অসহায় বা যাদের উপর কোরবানি ফরজ নয় বা যাদের কোরবানি করার সামর্থ্য নেই তাদের মাঝে বন্টন করে দিতে হবে । এ ক্ষেত্রে নিজের আত্মীয় স্বজন তার পর পাড়া পড়সী তার পর অন্যরা পাবে । দ্বিতীয় ভাগ নিজের মেহমান আত্মীয় স্বজনদের জন্য রাখতে হবে । আর এক ভাগ নিজের ঘর ছেলে মেয়ে মা বাবা সবার জন্য রাখতে হবে । তো এক্ষেত্রে আমরা দুই ভাগ নিজেদের কাছে রেখে দেই কেননা আত্মীয় স্বজন তো আমাদের মধ্যেই পড়ে আর এক ভাগ গরীবদের মাঝে বন্টন করে দেই ।
THANK YOU ALL.
A N I .
কোরবানির পশুর মাংস তিন ভাগে ভাগ করতে হবে । এক ভাগ গরীব এতিম
অসহায় বা যাদের উপর কোরবানি ফরজ নয় বা যাদের কোরবানি করার সামর্থ্য নেই তাদের মাঝে বন্টন করে দিতে হবে । এ ক্ষেত্রে নিজের আত্মীয় স্বজন তার পর পাড়া পড়সী তার পর অন্যরা পাবে । দ্বিতীয় ভাগ নিজের মেহমান আত্মীয় স্বজনদের জন্য রাখতে হবে । আর এক ভাগ নিজের ঘর ছেলে মেয়ে মা বাবা সবার জন্য রাখতে হবে । তো এক্ষেত্রে আমরা দুই ভাগ নিজেদের কাছে রেখে দেই কেননা আত্মীয় স্বজন তো আমাদের মধ্যেই পড়ে আর এক ভাগ গরীবদের মাঝে বন্টন করে দেই ।
THANK YOU ALL.
A N I .