পুরুষের যৌনমিলনের সময় লিঙ্গ উত্থান ধরে রাখতে টাডালাফিল (Tadalafil)
টাডালাফিল (Tadalafil) হলো এক ধরনের ওষুধ যা PDE5 inhibitor শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এটি মূলত পুরুষদের যৌনস্বাস্থ্য এবং কিছু রক্তনালীর সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
🔹 কেন সেবন করা হয়?
ইরেকটাইল ডিসফাংশন (ED):
যেসব পুরুষের যৌনমিলনের সময় লিঙ্গ উত্থান ধরে রাখতে সমস্যা হয়, তাদের ক্ষেত্রে এটি রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে সহায়তা করে।
সৌম্য প্রোস্টেট গ্রন্থি বৃদ্ধি (BPH):
প্রস্রাবে জটিলতা, ঘন ঘন প্রস্রাব ইত্যাদি সমস্যায় উপশম দিতে পারে।
পালমোনারি আর্টেরিয়াল হাইপারটেনশন (PAH):
ফুসফুসের রক্তনালীর উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এটি ব্যবহার করা হয়।
🔹 উপকারিতা
লিঙ্গে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
যৌন মিলনের সময় আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনে।
দীর্ঘস্থায়ী কার্যকারিতা (প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত) থাকে, এজন্য একে অনেকে “উইকেন্ড পিল” বলে।
প্রস্রাবের সমস্যায় কিছুটা স্বস্তি দেয় (BPH রোগীদের ক্ষেত্রে)।
🔹 কর্মক্ষমতা
খাওয়ার প্রায় ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর কাজ শুরু করে।
খালি পেটে বা খাবার পরেও কাজ করে, তবে চর্বিযুক্ত খাবারের পর দেরি হতে পারে।
যৌন উদ্দীপনা থাকলেই কাজ করে (নিজে থেকে উত্তেজনা সৃষ্টি করে না)।
⚠️ সতর্কতা:
হৃদরোগ, লো ব্লাড প্রেসার, কিডনির সমস্যা বা যারা নাইট্রেট জাতীয় ওষুধ (হৃদরোগের জন্য) খান, তাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়।
কিছু প্রাকৃতিক উপায় ও ব্যায়াম আছে, যেগুলো নিয়মিত করলে উত্থান শক্ত থাকবে এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখতে পারবেন।
🔹 ১. কেগেল এক্সারসাইজ (Kegel Exercise)
👉 এটা সবচেয়ে কার্যকর ব্যায়াম।
কিভাবে করবেন:
প্রস্রাব করার সময় মাঝপথে ২–৩ সেকেন্ডের জন্য প্রস্রাব বন্ধ করার চেষ্টা করুন।
যে মাংসপেশী ব্যবহার করছেন, সেটাই হলো পেলভিক ফ্লোর মাংসপেশী।
এখন প্রতিদিন শুয়ে/বসে ওই মাংসপেশীকে ৫–১০ সেকেন্ড টাইট করুন, তারপর ছেড়ে দিন।
দিনে ২–৩ বার, প্রতি বারে ১০–১৫ বার করে করুন।
👉 উপকারিতা: লিঙ্গের রক্তপ্রবাহ বাড়ে, উত্থান শক্ত হয় এবং স্খলন নিয়ন্ত্রণে আসে।
🔹 ২. স্টপ-স্টার্ট টেকনিক
👉 মিলনের সময় খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার অনুভূতি এলে সাময়িকভাবে থেমে যান, কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে আবার শুরু করুন।
এতে ধীরে ধীরে সময় নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়ে।
🔹 ৩. স্কুইজ টেকনিক
👉 উত্তেজনার সময় লিঙ্গের মাথার (গ্ল্যান্স) নিচে হালকা চাপ দিয়ে ধরুন। এতে উত্তেজনা কিছুটা কমে যাবে এবং সময় বাড়বে।
🔹 ৪. নিয়মিত শরীরচর্চা
হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম, সাইক্লিং এগুলো রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন।
🔹 ৫. খাদ্যাভ্যাস
দুধ, ডিম, মাছ, বাদাম, মধু, কলা, খেজুর, শাকসবজি ও ফল খান।
অতিরিক্ত তেল, ফাস্ট ফুড, ধূমপান ও নেশা এড়িয়ে চলুন।
🔹 ৬. মানসিক নিয়ন্ত্রণ
দুশ্চিন্তা, টেনশন বা “পারবো তো?” ধরনের ভয় কাটানো জরুরি।
রিলাক্সেশন বা মেডিটেশন চেষ্টা করতে পারেন।
👉 এগুলো নিয়মিত করলে ৩–৪ সপ্তাহের মধ্যে উন্নতি টের পাবেন।
তবে যদি সমস্যাটা দীর্ঘদিনের হয় বা একেবারেই নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে একজন ইউরোলজিস্ট বা যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাওয়াই সেরা উপায়।
No comments