বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডার! কোনটার কি কাজ?
আমরা জানি যে, বেকিং সোডা (Baking Soda) ও বেকিং পাউডার (Baking Powder) দুটোই বেকিংয়ে লেভেনিং এজেন্ট বা ফুলিয়ে তোলার উপকরণ, কিন্তু কাজের ধরণ ও উপাদানে পার্থক্য রয়েছে।
১. উপাদান
বেকিং সোডা:
মূলত খাঁটি সোডিয়াম বাইকার্বোনেট।
নিজে থেকে কাজ করতে অ্যাসিড দরকার (যেমন লেবুর রস, দই, ভিনেগার ইত্যাদি)।
বেকিং পাউডার:
সোডিয়াম বাইকার্বোনেটের সঙ্গে অ্যাসিডিক সল্ট (যেমন ক্রিম অব টারটার) এবং সামান্য স্টার্চ মিশিয়ে তৈরি।
এতে ইতিমধ্যেই অ্যাসিড থাকে, তাই আলাদা করে অ্যাসিড যোগ না করলেও চলে।
২. রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া
বেকিং সোডা: অ্যাসিডের সংস্পর্শে এসে তৎক্ষণাৎ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস তৈরি করে, যা মিশ্রণকে ফুলিয়ে তোলে।
বেকিং পাউডার: সাধারণত “ডাবল অ্যাক্টিং” হয়। প্রথমে ভেজা হলে গ্যাস বের হয়, পরে ওভেনে গরম হলে আবার গ্যাস তৈরি করে—ফলে ডো বা ব্যাটার ধীরে ধীরে ফুলে ওঠে।
৩. ব্যবহারের পার্থক্য
বেকিং সোডা: লেবুর রস, বাটারমিল্ক, দই বা ভিনেগারসহ অ্যাসিডিক রেসিপিতে ব্যবহার করা হয় (যেমন লেমন কেক, প্যানকেক)।
বেকিং পাউডার: সাধারণ কেক, বিস্কুট বা ব্রেড যেখানে আলাদা করে অ্যাসিড নেই।
৪. স্বাদ
বেকিং সোডা বেশি দিলে সাবানের মতো বা তিক্ত স্বাদ আসতে পারে।
বেকিং পাউডার তুলনামূলকভাবে হালকা ও নিরপেক্ষ স্বাদের।
সংক্ষেপে:
বেকিং সোডা = খাঁটি সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, অ্যাসিড দরকার।
বেকিং পাউডার = সোডা + অ্যাসিড + স্টার্চ, আলাদা অ্যাসিড লাগে না।
No comments