মায়ের বুকের দুধ বাড়ানোর জন্য বিশেষ করণীয় এবং বাচ্চার যত্ন
নবজাতক শিশুকে দুধ পান করানোর সময় মায়ের বুকের দুধ না এলে বা কম এলে এটি অনেক মা-বাবারই সাধারণ চিন্তার বিষয়। নিচে এই বিষয়ে করণীয় দিচ্ছি – দুই ভাগে:
---
🍼 ১. দুধ না এলে বা কম এলে করণীয়:
1. শিশুকে বারবার বুকের দুধ পান করাতে চেষ্টা করুন, যত বেশি শিশুকে চোষাতে পারবেন, তত বেশি দুধ আসার সংকেত যাবে মস্তিষ্কে।
প্রতি ২–৩ ঘণ্টা পরপর চেষ্টা করুন।
2. শিশু সঠিকভাবে স্তন ধরছে কিনা তা দেখুন
ভুলভাবে চুষলে দুধ বেরোবে না, শিশুও পুষ্টি পাবে না।
সঠিক latch না হলে একজন প্রশিক্ষিত নার্স বা মাতৃস্বাস্থ্য পরামর্শদাতার সাহায্য নিন।
3. সিজারিয়ান বা প্রিম্যাচিউর শিশুর ক্ষেত্রে
দুধ আসতে একটু দেরি হতে পারে, হতাশ হবেন না।
প্রয়োজনে বুক থেকে দুধ পাম্প করে শিশুকে খাওয়ান।
4. ডাক্তারের পরামর্শে সাময়িকভাবে ফর্মুলা দুধ দিতে পারেন
তবে এটি পরিকল্পিতভাবে এবং সীমিত সময়ের জন্য যেন হয়।
---
🌿 ২. মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে করণীয়:
1. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
প্রতিদিন অন্তত ২.৫–৩ লিটার পানি পান করতে হবে।
2. পুষ্টিকর খাবার খান
বিশেষ করে:
• শাকসবজি (মেথি শাক, পালং শাক)
• ডাল, খিচুড়ি
• দুধ, কলা
• বাদাম, নারকেল
• রসুন, কালোজিরা, জিরা পানি
3. বিশ্রাম নিন ও মানসিক চাপ কমান
উদ্বেগ ও ঘুমের ঘাটতি দুধ উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
4. গরম পানির সেঁক নিন (হালকা)
বুকের দুধ জমে থাকলে বের হতে সাহায্য করে।
5. গালাক্টাগগ (Galactagogue) জাতীয় খাবার বা ওষুধ
যেমন মেথি, জিরা, রসুন
প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে মেডিসিন (যেমন Domperidone) নেওয়া যায়।
---
🔔 কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে?
৩–৫ দিনেও দুধ না এলে
বাচ্চার ওজন কমে যাচ্ছে বা প্রস্রাব কম হচ্ছে
মা অসুস্থ বোধ করছেন বা স্তনে অতিরিক্ত ব্যথা হচ্ছে
---
মনে রাখবেন:
মায়ের বুকের দুধ শিশুর জন্য সবচেয়ে পুষ্টিকর ও রোগপ্রতিরোধক। এটি আসতে ধৈর্য ও সঠিক যত্ন প্রয়োজন।
প্রয়োজনে চাইলে আমি একটি সহজ খাদ্য তালিকা তৈরি করে দিতে পারি –
No comments