সুন্নাতে খৎনার সঠিক সময় ও বয়স এবং মাসয়ালা সমূহ
ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী সুন্নাতে খৎনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্নাত মুয়াক্কাদা আমল, বিশেষ করে পুরুষদের জন্য। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী সুন্নাতে খৎনার সঠিক কোনো সময় বা বয়স নির্ধারণ করা নেই। তবে, সাবালক হওয়ার পূর্বে করানো উত্তম।
---
সুন্নাতে খৎনার সঠিক সময় ও বয়স:
1. সর্বোত্তম সময়:
জন্মের সাত দিনের মধ্যে খৎনা করানো উত্তম (যেমনটি নবী ইব্রাহিম (আ.) করেছিলেন)। তবে এটি আবশ্যক নয়।
2. সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য বয়স:
খৎনার জন্য সবচেয়ে প্রচলিত ও সুবিধাজনক সময় হলো ৭ বছর বয়সের আগেই। যাতে বাচ্চা পবিত্রতার গুরুত্ব বুঝে এবং নামাজের পূর্বে পাক-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে অভ্যস্ত হয়।
3. বালেগ হওয়ার আগেই করানো উচিত:
শরীয়তের দৃষ্টিতে বালেগ হওয়ার পূর্বেই খৎনা করানো উচিত, যেন নামাজ, ইবাদত ইত্যাদিতে কোনো বাধা না আসে।
---
সুন্নাতে খৎনার মাসয়ালা:
1. পুরুষদের জন্য:
খৎনা করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। অনেক আলেম একে ওয়াজিব বা আবশ্যকও মনে করেন, বিশেষ করে যদি তা পরিচ্ছন্নতার জন্য জরুরি হয়।
2. অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব করা:
যদি খৎনা করাতে খুব দেরি করা হয় এবং এর কারণে অশুদ্ধতা বা অপবিত্রতা থেকে যায়, তাহলে তা গুনাহের শামিল হতে পারে।
3. অসুস্থ বা দুর্বল শিশুর খৎনা:
যদি শিশু অসুস্থ হয়, তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর খৎনা করানো উচিত।
4. খৎনার উদ্দেশ্য:
খৎনার মূল উদ্দেশ্য হলো পরিচ্ছন্নতা, ইবাদতের সহিহতা এবং শরীয়তের নির্দেশ পালনে আনুগত্য।
সেরা সময় জন্মের পর দ্রুত, তবে বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী বালেগ হওয়ার আগেই করানো উচিত। এটি পরিচ্ছন্নতা ও ইবাদতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত এবং ইসলামের ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত।
No comments