"ৎ" (ত্ বর্ণ, যাকে 'visarga t' বা "চন্দ্র ত" বলা হয়)
বাংলা ব্যাকরণ শিখার গুরুত্ব
বাংলা ভাষা সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে হলে ব্যাকরণ শেখা অত্যন্ত জরুরি। ব্যাকরণ হলো ভাষার নিয়মকানুন, যা সঠিকভাবে কথা বলা, লেখা ও বোঝার পথ নির্দেশ করে। যদি আমরা ব্যাকরণ না জানি, তবে বাক্যে ভুল হবে, অর্থ বিকৃত হতে পারে।
"ৎ" (ত্ বর্ণ, যাকে 'visarga t' বা "চন্দ্র ত" বলা হয়) এর নিজস্ব স্বতন্ত্র উচ্চারণ নেই — এটি একটি ধ্বনিমূলক চিহ্ন বা নির্দিষ্ট শব্দে ব্যবহৃত মূক ধ্বনি।
উচ্চারণ ব্যাখ্যা:
"ৎ" মূলত ব্যঞ্জনধ্বনি নয়, বরং এটি যেসব শব্দে ব্যবহৃত হয়, সেখানে ত-এর মৃদু, ক্ষীণ বা সংক্ষেপিত ধ্বনি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ ও উচ্চারণ:
1. কর্তব্য – উচ্চারণ: কôртôbbô
2. সত্কর্ম – উচ্চারণ: শôткôrmô
3. সৎ মানুষ – উচ্চারণ: শৎ মানুশ নয়, বরং শôт মানুশ
সত্ এখানে শুধু 'ত' এর মৃদু রূপ — প্রায় নিঃশব্দ ধ্বনির মতো।
মূল কথা:
"ৎ" উচ্চারিত হয় খুবই হালকা বা কখনো উচ্চারিতই হয় না।
এটি সাধারণত ত-এর সংক্ষিপ্ত রূপ,
এবং শব্দে বিশুদ্ধতা ও রূপগত পার্থক্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
একজন শিক্ষার্থী, লেখক বা পেশাজীবী হিসেবে নিজেকে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে হলে সঠিক বানান, বাক্যগঠন ও রচনার নিয়ম জানা প্রয়োজন। ব্যাকরণ আমাদের ভাষাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে তোলে এবং চিন্তাকে পরিষ্কারভাবে প্রকাশ করতে সাহায্য করে।
No comments