কুরআন'এর আলোকে হযরত ‘ঈসা' আ.
হযরত ‘ঈসা ‘আলাইহিস সালামের আলোচনা কুরআনে কারীমের সর্বমোট তেরটি সূরায় করা হয়েছে। এগুলোর কোথাও তাকে ‘ঈসা নামে, কোথাও মাসীহ বা আবদুল্লাহ উপাধিতে, আবার কোথাও মারিয়াম-তনয় উপনামে উল্লেখ করা হয়েছে।হযরত ‘ঈসা‘ আ. ছিলেন উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন পয়গাম্বর।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেমন সর্বশেষ নবী ও রাসূল, তেমনি হযরত ‘ঈসা ‘আলাইহিস সালাম বনী ইসরাইলের মধ্যে সর্বশেষ নবী। হযরত ‘ঈসা ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম'এর পর হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের পূর্ব পর্যন্ত কোন নবী বা রাসূল দুনিয়াতে আগমন করেননি।
হযরত ‘ঈসা ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম'এর উচ্চমর্যাদা ও সুমহান ব্যক্তিত্বের নিদর্শন হলো, হযরত মুসা ‘আলাইহিস সালাম বনী ইসরাইলের মধ্য থেকে নবুওয়্যাত ও রিসালাতের ইমামতের মাকামে যেমন অধিষ্ঠিত ছিলেন,তেমনিভাবে হযরত ‘ঈসা ‘আলাইহিস সালাম ছিলেন নবুওয়্যাত রিসালাতের ক্ষেত্রে মুজাদ্দিদের ভূমিকায়।
কেননা, তাওরাতের পর ইঞ্জিলের তুলনায় অধিক মর্যাদাসম্পন্ন কোন কিতাব অবতীর্ণ হয়নি। আর এটা বাস্তব সত্য যে, ইনজিল নাযিল হয়ে তাওরাত'এরথ
বিধানাবলোকে পূর্ণতা দান করেছে।
অর্থাৎ তাওরাত নাযিল হওয়ার পর ইহুদীরা দীনের মধ্যে যেসব গোমরাহী ও কুসংস্কারের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল, ইনজিল অবতীর্ণ হয়ে তাদের সেসব ভ্রান্তি হতে বেঁচে থাকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং তাওরাতের পরিপূরক হিসেবে দায়িত্ব আনজাম দিয়েছে।
আর মুসা ‘আলাইহিস সালামের হেদায়েতের বাণী, যা ইহুদীরা বেমালুম ভুলে গিয়েছিল, ‘ঈসা ‘আলাইহিস সালাম আগমন করে তাদের সেগুলোর ব্যাপারে সজাগ করেছিলেন।
কুরআন কারীমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীনের সাদৃশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে যেসকল মর্যাদাবান ব্যক্তির ‘আদর্শের আলোচনা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে হযরত ইব্রাহীম ‘আলাইহিস সালাম, হযরত মুসা ‘আলাইহিস সালাম এবং হযরত ‘ঈসা ‘আলাইহিস সালাম উল্লেখযোগ্য।
No comments