বাংলা, আরবি ও ইংরেজি বর্ণমালা কতটি এবং কি কি।
🅱️ বাংলা বর্ণমালা
বাংলা বর্ণমালা দুই ভাগে ভাগ করা যায় –
স্বরবর্ণ (১১টি), ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৯টি)
✅ স্বরবর্ণ (১১টি)
অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ
✅ ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৯টি)
ক, খ, গ, ঘ, ঙ
চ, ছ, জ, ঝ, ঞ
ট, ঠ, ড, ঢ, ণ
ত, থ, দ, ধ, ন
প, ফ, ব, ভ, ম
য, র, ল, শ, ষ, স, হ
ড়, ঢ়, য়,ৎ, ং, ঃ, ঁ
📘 মোট = ১১ + ৩৯ = ৫০টি বর্ণ
🔸 বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণের কৌশল:
“ট, ঠ, ড, ঢ, ণ” — জিভ উল্টে মূর্ধায় (জিহ্বার ডগা উপরের তালুতে ছোঁয়ান)।
“ত, থ, দ, ধ, ন” — জিভ সামনের দাঁতের গোড়ায় রাখুন (দন্ত্য ধ্বনি)।
“প, ফ, ব, ভ, ম” — ঠোঁট ব্যবহার করুন (ওষ্ঠ্য ধ্বনি)।
“খ, ঘ, ছ, ঝ, ঠ, ধ, ফ, ভ” — এগুলো উচ্চারণে হালকা বাতাস বের হয়।
🗣️ বিশুদ্ধ উচ্চারণ চর্চার টিপস
শব্দ ভেঙে উচ্চারণ করুন — যেমন “বাংলা” → “বা-ং-লা”
রেডিও বা সংবাদ পাঠকের উচ্চারণ শুনুন (বাংলাদেশ বেতার, বিটিভি)।
জোরে পড়ার অনুশীলন করুন — প্রতিদিন ৫–১০ মিনিট।
“য”, “জ”, “ঝ”, “শ”, “ষ”, “স” – এইগুলো আলাদা করে শুনে শুদ্ধভাবে বলার অভ্যাস করুন।
মুখের নড়াচড়া আয়নার সামনে দেখুন – সঠিক জায়গায় জিভ ও ঠোঁট আছে কি না।
🕋 আরবি হরফ (Arabic Letters) কয়টি
আরবি বর্ণমালা মোট ২৯টি (উনত্রিশটি) হরফ নিয়ে গঠিত।
কিছু আলেম ২৮টি বলেন, কারণ “হামযাহ (ء)”–কে আলাদা ধরা হয় কি না তার ওপর নির্ভর করে।
আরবি বর্ণমালা
আরবি ভাষায় ২৮টি মৌলিক বর্ণ আছে।
✅ আরবি বর্ণসমূহ:
ا (আলিফ), ب (বা), ت (তা), ث (সা), ج (জিম), ح (হা), خ (খা),
د (দাল), ذ (যাল), ر (রা), ز (যাই), س (সীন), ش (শীন), ص (সাদ),
ض (দাদ), ط (তা), ظ (জা), ع (আইন), غ (গাইন), ف (ফা), ق (ক্বাফ),
ك (কাফ), ل (লাম), م (মীম), ن (নূন), هـ (হা), و (ওয়াও), ي (ইয়া)
📘 মোট = ২৮টি বর্ণ
🌙 মাখরাজ (مخرج) কয়টি
“مَخْرَج” (মাখরাজ) অর্থ — ধ্বনির উৎপত্তিস্থল, অর্থাৎ মুখ, জিহ্বা, ঠোঁট বা গলার যে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে প্রতিটি হরফ উচ্চারিত হয়।
🔹 আরবি হরফের মাখরাজ মোট ১৭টি।
📖 সংক্ষেপে মনে রাখার সহজ উপায়:
গলা থেকে ৬ হরফ (ء هـ ع ح غ خ)
জিহ্বা থেকে ১০ হরফ (ق ك ج ش ي ض ل ن ر ت د ث س ز ص ظ ذ)
ঠোঁট থেকে ৪ হরফ (ف ب م و)
নাক থেকে ১টি ধ্বনি (غُنّাহ)
🇬🇧 ইংরেজি বর্ণমালা
ইংরেজি বর্ণমালা ২৬টি অক্ষর নিয়ে গঠিত।
এর মধ্যে ৫টি vowel (স্বরবর্ণ) এবং ২১টি consonant (ব্যঞ্জনবর্ণ)।
✅ ইংরেজি বর্ণসমূহ:
A, B, C, D, E, F, G, H, I, J, K, L, M,
N, O, P, Q, R, S, T, U, V, W, X, Y, Z
🅰️ Vowel (ভাওয়েল) কাকে বলে
🔹 সংজ্ঞা: যে বর্ণগুলোর উচ্চারণে মুখের ভেতরে কোনো বাধা বা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় না,
অর্থাৎ — বাতাস মুখ দিয়ে সহজে ও স্বচ্ছভাবে বের হয়,
তাদের বলে Vowel (স্বরবর্ণ)।
🔹 ইংরেজিতে মোট ৫টি মূল Vowel letter আছে:
👉 A, E, I, O, U
🔹 উদাহরণ:
A → apple
E → egg
I → ink
O → orange
U → umbrella
👉 কখনও কখনও Y বর্ণটিও vowel-এর মতো কাজ করে (যেমন: sky, baby)।
🅱️ Consonant (কনসোন্যান্ট) কাকে বলে
🔹 সংজ্ঞা: যে বর্ণগুলোর উচ্চারণে বাতাসের প্রবাহ জিহ্বা, ঠোঁট, দাঁত বা গলার কোথাও বাধা পায়,
অর্থাৎ — মুখে কোনো বাধা তৈরি করে ধ্বনি বের হয়,
তাদের বলে Consonant (ব্যঞ্জনবর্ণ)।
🔹 ইংরেজিতে মোট ২১টি consonant letter আছে:
👉 B, C, D, F, G, H, J, K, L, M, N, P, Q, R, S, T, V, W, X, Y, Z
🔹 উদাহরণ:
B → ball
D → dog
F → fish
M → man
S → sun
🪶 উপসংহার: ভাষা শেখার মূল চাবিকাঠি
যেকোনো ভাষা শেখার জন্য প্রয়োজন আগ্রহ, মনোযোগ ও নিয়মিত অনুশীলন।
প্রথমে সেই ভাষার বর্ণমালা ও সঠিক উচ্চারণ শেখা জরুরি।
তারপর ধীরে ধীরে শব্দভাণ্ডার (vocabulary) বাড়াতে হবে এবং ব্যাকরণ (grammar) বুঝতে হবে।
শেখার সময় চারটি দক্ষতা — শোনা, বলা, পড়া ও লেখা — সমানভাবে অনুশীলন করলে ভাষা আয়ত্ত করা সহজ হয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়মিত ব্যবহার ও চর্চা;
কারণ, ভাষা যত বেশি ব্যবহার করা যায়, তত দ্রুত শেখা যায়।
🔹 সংক্ষেপে বলা যায় —
💬 ভাষা শেখা মানে আগ্রহ + চর্চা + ধৈর্য + প্রয়োগ।


No comments