মাইগ্রেন একটি দীর্ঘমেয়াদি স্নায়বিক সমস্যা, তাৎক্ষণিক করণীয় এবং প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা

 



মাইগ্রেন একটি দীর্ঘমেয়াদি স্নায়বিক সমস্যা, যেখানে তীব্র ও ধকধকে মাথাব্যথা হয় এবং সঙ্গে বমি বমি ভাব, আলো–শব্দে সংবেদনশীলতা ইত্যাদি থাকতে পারে। সঠিক চিকিৎসা ও জীবনযাপনের নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।



তাৎক্ষণিক করণীয়

শান্ত ও অন্ধকার ঘর: আলো ও শব্দ এড়িয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন।

ঠান্ডা বা গরম সেঁক: মাথা বা ঘাড়ে ঠান্ডা/গরম সেঁক দিলে অনেকের ব্যথা কমে।

হালকা খাবার ও পানি: পর্যাপ্ত পানি পান করুন, কিন্তু ভারী বা তেল–মশলাযুক্ত খাবার এড়ান।

ডিপ ব্রিদিং বা রিল্যাক্সেশন: গভীর শ্বাস নেওয়া, হালকা ম্যাসাজ, মেডিটেশন উপকারি হতে পারে।



জীবনযাপনে পরিবর্তন

নিয়মিত ঘুম: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম ও জাগরণ।

ডিহাইড্রেশন এড়ানো: পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার নিন।

স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা হাঁটাহাঁটি করুন।

ট্রিগার এড়ানো: কারও জন্য ঝাল খাবার, অতিরিক্ত ক্যাফেইন, চকোলেট, চিজ, ঘুমের অভাব বা অতিরিক্ত মোবাইল/কম্পিউটার স্ক্রিন মাইগ্রেন বাড়াতে পারে—নিজের ট্রিগারগুলো চিহ্নিত করে কমিয়ে দিন।

নিয়মিত ব্যায়াম: হালকা ব্যায়াম রক্তসঞ্চালন ভালো করে এবং মাথাব্যথা কমাতে সহায়ক।



চিকিৎসা

ওভার–দ্য–কাউন্টার পেইন রিলিভার: যেমন প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন ইত্যাদি—কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন খাওয়া উচিত নয়।

প্রেসক্রিপশন ওষুধ: ট্রিপটান, এরগোটামিন, প্রতিরোধমূলক ওষুধ (বিটা-ব্লকার, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার ইত্যাদি) ডাক্তার প্রয়োজনে দিয়ে থাকেন।

প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা: বারবার হলে নিউরোলজিস্ট বা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নিয়মিত ওষুধ বা থেরাপি নির্ধারণ করেন।



কখন ডাক্তার দেখাবেন

মাথাব্যথা হঠাৎ তীব্র হয়ে গেলে

বারবার বমি বা অজ্ঞান হওয়ার মতো উপসর্গ থাকলে

ওভার–দ্য–কাউন্টার ওষুধেও ব্যথা না কমলে

মাসে ৪ বা তার বেশি আক্রমণ হলে



👉 পরামর্শ: মাইগ্রেন ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। তাই সঠিক কারণ ও উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড নিউরোলজিস্ট বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া 

No comments

Powered by Blogger.