বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গ্রন্থসমূহ: এক দৃষ্টিতে সাহিত্যসম্রাটের অবদান
ভূমিকা
বাংলা সাহিত্যের আকাশে যে কজন নক্ষত্র চিরকাল দীপ্তি ছড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কাজী নজরুল ইসলাম অগ্রগণ্য। তিনি শুধু একজন কবিই নন, বরং একজন বেদনাতুর বিদ্রোহী, সঙ্গীত স্রষ্টা, গীতিকার, সুরকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং সাংবাদিক।
তাঁর লেখনীতে ফুটে উঠেছে মানুষের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা, সাম্য ও প্রেমের জাগরণ, আর জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামী আহ্বান। আজ আমরা তুলে ধরবো তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশিত মূল গ্রন্থগুলোর তালিকা এবং তাঁদের প্রকাশকাল, যা আমাদের সাহিত্য ও ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ।
কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গ্রন্থসমূহ (প্রকাশ সাল অনুযায়ী)
কবিতার বই:
1. অগ্নিবীণা – 1922
2. সঞ্চিতা – 1925
3. ফণিমনসা – 1932
4. সিন্ধু হিন্দোল – 1933
5. ছায়ানট – 1937
6. সঞ্চয়িতা – ১৯৪২ (নজরুলের নিজস্ব নির্বাচিত সংকলন)
7. নির্ঝর – ১৯৫১
8. মোর প্রিয় কবিতা – ১৯৫৭
গল্পগ্রন্থ:
1. ব্যথার দান – ১৯২২
উপন্যাস:
1. বাদল প্রহরী – ১৯৩০
2. কুহেলিকা – ১৯৩১
নাটক ও নাট্যকাব্য:
1. ঝিলিমিলি – ১৯৩০
2. আলেয়া – ১৯৩১
প্রবন্ধ/রাজনৈতিক রচনা:
1. যুগবাণী – ১৯২২
2. দুর্দিনের যাত্রী – ১৯২৬
3. রুদ্রমঙ্গল – ১৯২৭
সংগীত সংকলন:
1. নজরুল গীতি / গানের বই (বিভিন্ন সংকলন) – প্রকাশিত হয় ১৯৩০–১৯৪০-এর মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে। যেমন:
১. গানের মালা
২. নবীন
গল্পগুচ্ছ
দোলনচাঁপা
বুলবুল
---
উপসংহার
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য এক অমূল্য রত্নভাণ্ডার। তাঁর লেখনী আজও বিদ্রোহের গান, প্রেমের আহ্বান, মানবতার বাণী হয়ে মানুষের হৃদয়ে অনুরণিত হয়। তাঁর প্রতিটি বই একেকটি কালজয়ী সৃষ্টির প্রতীক, যা যুগ যুগ ধরে পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে এবং যাবে।
জাতীয় কবির এই অনন্য সাহিত্যকীর্তির ধারায় আমরা যেমন পেয়েছি সাহসিকতা ও প্রতিবাদের ভাষা, তেমনি ভালোবাসা ও সহানুভূতির পরশ। কাজী নজরুল ইসলাম চিরদিন আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন তাঁর কালজয়ী সাহিত্য দিয়ে।
তথ্যসূত্র:
নজরুল
ইনস্টিটিউট
বাংলা একাডেমি
বিভিন্ন সাহিত্য গবেষণা সংকলন
No comments