টনিক দেওয়া ড্রাগন ফল (Dragon Fruit) চেনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায়
বর্তমানে বাজারে অনেক ক্ষেত্রেই ফল বড় ও আকর্ষণীয় দেখাতে টনিক বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। টনিক দেওয়া ড্রাগন ফল সাধারণত স্বাভাবিক ফল থেকে কিছুটা ভিন্ন দেখায় এবং তার কিছু চিহ্ন থাকে।
✅ টনিক দেওয়া ড্রাগন ফল চেনার উপায়:
১. অতিরিক্ত চকচকে ও রঙিন:
• টনিক দেওয়া ড্রাগন ফল অনেক বেশি উজ্জ্বল, চকচকে ও গাঢ় গোলাপি/লাল রঙের হয়।
• স্বাভাবিক ড্রাগন ফল তুলনামূলকভাবে হালকা রঙের এবং একটু নিস্তেজ দেখায়।
২. বেশি নরম বা জেলির মতো অনুভূতি:
• টনিক দেওয়া ফল চেপে ধরলে নরম লাগে বা ভিতরের অংশ যেন জেলির মতো হয়।
• প্রকৃত ফল টানটান ও দৃঢ় হয়।
৩. অসামঞ্জস্যপূর্ণ আকৃতি:
টনিক ব্যবহারে অনেক সময় ফলের আকার অস্বাভাবিক বড় বা ফুলে উঠা হয়।
৪. গন্ধ দিয়ে শনাক্ত:
• কিছু টনিক বা রাসায়নিক ব্যবহারে হালকা কেমিক্যাল জাতীয় গন্ধ থাকতে পারে।
• প্রকৃত ড্রাগন ফলের খুব হালকা বা প্রাকৃতিক গন্ধ থাকে।
৫. কাটার পর ভেতরের রঙ অস্বাভাবিক গাঢ়:
• যদি ভেতরের অংশ খুব বেশি রঙিন বা একদম উজ্জ্বল হয়, তবে সেটা সন্দেহজনক হতে পারে।
• স্বাভাবিকভাবে ড্রাগন ফলের ভেতরের রঙ (সাদা বা বেগুনি) মোলায়েম ও প্রাকৃতিকভাবে দেখা যায়।
৬. বীজের অবস্থান:
টনিক দেওয়া ফলের বীজ অনেক সময় এলোমেলো বা একটু ঝাপসা দেখায়।
৭. ছাড়ার পর অল্প সময়েই নষ্ট হয়ে যাওয়া:
টনিক দেওয়া ফল অনেক সময় কাটার পর দ্রুত কালো হয়ে যায় বা ঘ্রাণ পরিবর্তন হয়ে যায়।
⚠️ সতর্কতা ও পরামর্শ:
• চেনা দোকান থেকে ফল কিনুন।
• বাড়ি ফিরে ড্রাগন ফল ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
• সন্দেহ হলে একটু অংশ কেটে গন্ধ নিয়ে বা রঙ দেখে সিদ্ধান্ত নিন।
• প্রয়োজন হলে কিছুক্ষণ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে পারেন।
আপনি চাইলে বাজারে প্রাকৃতিক ও অর্গানিক ফল বিক্রি করে এমন দোকান থেকেও ফল সংগ্রহ করতে পারেন।
আরও নির্ভরযোগ্য উপায়ে পরীক্ষার জন্য আপনি চাইলে একটি ল্যাব পরীক্ষাও করাতে পারেন (বিশেষ করে বড় পরিমাণে কেনার ক্ষেত্রে)।
No comments