সাকিব আল হাসানের বোলিং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ ও হান্ড্রেডে ফিরছেন তিনি

 



বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান অবশেষে বোলিং নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ইংল্যান্ডের লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে তিনি এই বৈধতা অর্জন করেছেন। এর ফলে, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাদের প্রতিযোগিতামূলক সব কাউন্টি ক্রিকেট এবং দ্য হান্ড্রেড থেকে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। 


গত বছরের সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে খেলার সময় সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। এরপর বার্মিংহাম এবং চেন্নাইয়ে পরপর দুবার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় ব্যর্থ হন তিনি। তবে লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ পরীক্ষায় সাকিব তার বোলিং অ্যাকশন সংশোধন করেছেন এবং বৈধতা ফিরে পেয়েছেন। 


ইসিবি শিগগিরই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে একটি বিস্তারিত মিডিয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। সাকিবের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটি সুখবর, যা দলের শক্তি বৃদ্ধি করবে।



সাকিবের বোলিং নিষেধাজ্ঞার কারণ ও প্রেক্ষাপট

সাকিব আল হাসানের বোলিং ক্যারিয়ারে এটি প্রথমবার নয় যে তার বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ এবং দ্য হান্ড্রেড-এ খেলার সময় তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।


নিষেধাজ্ঞার কারণ


১. সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন:

ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সময় কিছু ডেলিভারিতে সাকিবের কনুই অনুমোদিত ১৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশি বাঁকছিল বলে আম্পায়ারদের সন্দেহ হয়।


আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো বোলারের কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকে, তবে সেটিকে অবৈধ বোলিং অ্যাকশন হিসেবে গণ্য করা হয়।


2. বোলিং পরীক্ষায় ব্যর্থতা:

সন্দেহজনক অ্যাকশনের অভিযোগ আসার পর সাকিবকে বায়োমেকানিক্যাল টেস্টে অংশ নিতে বলা হয়।


তিনি প্রথম দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি, যেখানে তার বেশ কিছু ডেলিভারিতে নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি কনুই বাঁকানোর প্রমাণ মেলে।


3. নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা:

ব্যর্থ পরীক্ষার পর, ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তার উপর অস্থায়ী বোলিং নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

এ সময় তিনি ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারলেও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে বল করতে পারেননি।


কিভাবে নিষেধাজ্ঞা উঠল?

সাকিব এরপর লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় বোলিং পরীক্ষা দেন।

সেখানে তার অ্যাকশন বৈধ প্রমাণিত হয় এবং ইসিবি তার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।

এখন তিনি পুনরায় ইংল্যান্ডের ঘরোয়া লিগসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন।

এই ঘটনাটি ক্রিকেটারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা, যেখানে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন শুধুমাত্র নতুনদের জন্য নয়, অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে।



No comments

Powered by Blogger.