মহররম এর মর্মান্তিক ইতিহাস এবং ফজিলত
A N I |
7 | SEPTEMBER | 2019 |THE TRACE | HISTORY | দাগ | ইতিহাস |
THE MONTH OF MAHARRAM | SIGNIFICANCE |
CAUSE AND EXCLUSION |
মহররম মাস: | তাৎপর্য, করণীয় ও বর্জনীয় |
■ দু'লাইন |
চার সম্মানিত মাসের প্রথম মাস মহররম, যাকে আরবের অন্ধকার যুগেও বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার চোখে দেখা হতো। আবার হিজরি সনের প্রথম মাসও মহররম। শরিয়তের দৃষ্টিতে যেমন এ মাসটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনি এই মাসে সংঘটিত ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণও অনেক দীর্ঘ।
চার সম্মানিত মাসের প্রথম মাস মহররম, যাকে আরবের অন্ধকার যুগেও বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার চোখে দেখা হতো। আবার হিজরি সনের প্রথম মাসও মহররম। শরিয়তের দৃষ্টিতে যেমন এ মাসটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনি এই মাসে সংঘটিত ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণও অনেক দীর্ঘ।
আমরা দেখতে পাই, ইতিহাসের এক জ্বলন্ত সাক্ষী মহররম মাস। ইসলামের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সূত্রপাত হয় এ মাসে। শুধু উম্মতে মুহাম্মদিই নয়, বরং পূর্ববর্তী অনেক উম্মত ও নবীদের অবিস্মরণীয় ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল এই মাসে।
■ মহররম মাসের ফজিলত ।
নামকরণ থেকেই প্রতীয়মান হয় এ মাসের ফজিলত। মহররম অর্থ মর্যাদাপূর্ণ, তাৎপর্যপূর্ণ। যেহেতু অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য ও রহস্যময় তাৎপর্য নিহিত রয়েছে এ মাসকে ঘিরে, সঙ্গে সঙ্গে এ মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ছিল, এসব কারণেই এ মাসটি মর্যাদাপূর্ণ। তাই এ মাসের নামকরণ করা হয়েছে মহররম বা মর্যাদাপূর্ণ মাস।
নামকরণ থেকেই প্রতীয়মান হয় এ মাসের ফজিলত। মহররম অর্থ মর্যাদাপূর্ণ, তাৎপর্যপূর্ণ। যেহেতু অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য ও রহস্যময় তাৎপর্য নিহিত রয়েছে এ মাসকে ঘিরে, সঙ্গে সঙ্গে এ মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ছিল, এসব কারণেই এ মাসটি মর্যাদাপূর্ণ। তাই এ মাসের নামকরণ করা হয়েছে মহররম বা মর্যাদাপূর্ণ মাস।
মহররম সম্পর্কে (যা আশহুরে হুরুমের অন্তর্ভুক্ত তথা নিষিদ্ধ মাস) পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাসের সংখ্যা ১২। যেদিন থেকে তিনি সব আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তন্মধ্যে চারটি হলো সম্মানিত মাস। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং তোমরা এ মাসগুলোর সম্মান বিনষ্ট করে নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না।’ –সূরা তওবা: ৩৬
অর্থাৎ সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে আল্লাহতায়ালা ১২টি মাস নির্ধারণ করে দেন। তন্মধ্যে চারটি মাস বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে।
ওই চারটি মাস কী কী? এর বিস্তারিত বর্ণনা হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, হাদিসে উল্লিখিত হয়েছে, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, এক বছরে ১২ মাস। এর মধ্যে চার মাস বিশেষ তাৎপর্যের অধিকারী। এর মধ্যে তিন মাস ধারাবাহিকভাবে (অর্থাৎ জিলকদ, জিলহজ ও মহররম) এবং চতুর্থ মাস মুজর গোত্রের রজব মাস। -সহিহ বোখারি: ৪৬৬২ ও মুসলিম: ১৬৭৯
■ কারবালার ইতিহাস ।
রাসূল (সা.)-এর ওফাতের মাত্র ৫০ বছর পর ৬১ হিজরির মুহাররম মাসের ১০ তারিখে জুমুার দিন ইরাকের কারবালা নামক স্থানে ক্ষমতালোভী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদাতবরণ করেন তাঁরই প্রিয় দৌহিত্র হজরত হোসাইন ইবনু আলী (রা.)। তার শাহাদাতের কারণ নিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের মন্তব্য করেন। তবে তারিখুত তাবারিতে যে কারণ উল্লেখ করা হয়েছে তা-ই প্রণিধানযোগ্য। হজরত হোসাইন (রা.) প্রিয় নবীজী (সা.)-এর নবুওয়াতের আদলে পরিচালিত খোলাফায়ে রাশেদীনের মহান আদর্শকে রক্ষা করার জন্য ইয়াজিদের স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। ইয়াজিদের স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে সপরিবারে শাহাদাতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সংগ্রাম করে কিয়ামত পর্যন্ত এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলেন। তার সেদিনের সে সংগ্রাম কিন্তু ব্যর্থ হয়নি।
আর ওই মহান ত্যাগের ফলে এ কথাই প্রমাণিত হয়েছে যে, ইয়াজিদের রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ইসলামবিরোধী ছিল। তিনি এর বিরুদ্ধে জিহাদ না করলে অনেকে এটাকে বৈধ বলেই মনে করতেন। ইয়াজিদের রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পক্ষে সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেয়িগণের ইজমা ছিল বলে প্রমাণিত হতো। কিন্তু হজরত হোসাইন ইবনু আলী (রা)-এর শাহাদাত একথাটি সুস্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বংশানুক্রমিক বাদশাহি ইসলাম সমর্থন করে না। তার এ শাহাদাত যুগে যুগে মুসলিম জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে লড়াই এবং শাহাদাতের প্রেরণা দান করে। মানব রচিত জুলুমের শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে আল্লাহর বিধান কায়েম করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।
রাসূল (সা.)-এর ওফাতের মাত্র ৫০ বছর পর ৬১ হিজরির মুহাররম মাসের ১০ তারিখে জুমুার দিন ইরাকের কারবালা নামক স্থানে ক্ষমতালোভী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদাতবরণ করেন তাঁরই প্রিয় দৌহিত্র হজরত হোসাইন ইবনু আলী (রা.)। তার শাহাদাতের কারণ নিয়ে অনেকেই অনেক ধরনের মন্তব্য করেন। তবে তারিখুত তাবারিতে যে কারণ উল্লেখ করা হয়েছে তা-ই প্রণিধানযোগ্য। হজরত হোসাইন (রা.) প্রিয় নবীজী (সা.)-এর নবুওয়াতের আদলে পরিচালিত খোলাফায়ে রাশেদীনের মহান আদর্শকে রক্ষা করার জন্য ইয়াজিদের স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। ইয়াজিদের স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে সপরিবারে শাহাদাতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সংগ্রাম করে কিয়ামত পর্যন্ত এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলেন। তার সেদিনের সে সংগ্রাম কিন্তু ব্যর্থ হয়নি।
আর ওই মহান ত্যাগের ফলে এ কথাই প্রমাণিত হয়েছে যে, ইয়াজিদের রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ইসলামবিরোধী ছিল। তিনি এর বিরুদ্ধে জিহাদ না করলে অনেকে এটাকে বৈধ বলেই মনে করতেন। ইয়াজিদের রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পক্ষে সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেয়িগণের ইজমা ছিল বলে প্রমাণিত হতো। কিন্তু হজরত হোসাইন ইবনু আলী (রা)-এর শাহাদাত একথাটি সুস্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বংশানুক্রমিক বাদশাহি ইসলাম সমর্থন করে না। তার এ শাহাদাত যুগে যুগে মুসলিম জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে লড়াই এবং শাহাদাতের প্রেরণা দান করে। মানব রচিত জুলুমের শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে আল্লাহর বিধান কায়েম করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে।
THANK YOU ALL.
A N I .________
No comments