চক্রকেন্দ্র |
A N I
ANOWAR NURUL ISLAM
5 SEPTEMBER 2019 |
THE HUB | চক্রকেন্দ্র |
■ THE ARTICLE
ছেলে :বাবা ময়লা ওয়ালা এসেছে,আমাদের ময়লা গুলো বের করে দিতে হবে
বাবা : না বাবা তুমি ভুল বলছো ,ওরা ময়লা ওয়ালা নয় আমরাই ময়লা ওয়ালা কারণ আমরাই তো ময়লা করি আর ওদেরকে বলবে পরিস্কার কর্মী কারণ ওরা ময়লা পরিস্কার করে ।
উপরের বাবা এবং ছেলের কথোপকথন হচ্ছে এই শহরের একটি ভদ্র পরিবারের । কিন্তু এখানে একটু ব্যতিক্রম শুনালেও আজ আমাদের দেশের প্রতিটি বাসা বাড়িতে কিন্তু ময়লা পরিস্কার কারি কর্মীদের ময়লা ওয়ালা বলেই সম্বোধন করা হয় । আমরা বড়ই অবাক করা জাতি যে কিনা ময়লা পরিস্কার করে তাকেই বলা হচ্ছে ময়লা ওয়ালা আর আমরা ময়লা করে আমরাই হয়ে গেলাম ভদ্রলোক ।
বাবা : না বাবা তুমি ভুল বলছো ,ওরা ময়লা ওয়ালা নয় আমরাই ময়লা ওয়ালা কারণ আমরাই তো ময়লা করি আর ওদেরকে বলবে পরিস্কার কর্মী কারণ ওরা ময়লা পরিস্কার করে ।
উপরের বাবা এবং ছেলের কথোপকথন হচ্ছে এই শহরের একটি ভদ্র পরিবারের । কিন্তু এখানে একটু ব্যতিক্রম শুনালেও আজ আমাদের দেশের প্রতিটি বাসা বাড়িতে কিন্তু ময়লা পরিস্কার কারি কর্মীদের ময়লা ওয়ালা বলেই সম্বোধন করা হয় । আমরা বড়ই অবাক করা জাতি যে কিনা ময়লা পরিস্কার করে তাকেই বলা হচ্ছে ময়লা ওয়ালা আর আমরা ময়লা করে আমরাই হয়ে গেলাম ভদ্রলোক ।
উক্তি : সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই ।
মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয় মানুষের আচরণ ,ঠিক মানুষকে রতন করে দেয় মানুষের মূল্যায়ন । আমরা যদি একে অপরকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে না পারি তাহলে প্রানিকুলও আমাদের ধিক্কার জানাবে । সমাজে বৈষম্য বাড়ছে এরকম অহেতুক আচরণের কারণে ।
প্রতিটি দেশ এবং জাতি গোত্রে বৈষম্য আর উগ্রবাদী বাড়ছে । ধর্মীয় উগ্রবাদী, জাতীয় উগ্রবাদী, বর্ণ উগ্রবাদী, ভাষার উগ্রবাদী, ধনী গরিবের বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে । সমাজে আজ সুশীল এবং সাম্যবাদী মানুষ গুলো পিছিয়ে পড়ছে । যারা মানবতা এবং নৈতিকতা নিয়ে চিন্তা করে তারা আজ পদে পদে অপমান হচ্ছে । শক্তির বিচারে যারা একটু এগিয়ে আছে তারা নিম্ন মানের মানুষ গুলোকে নিজেদের আয়ত্তে রাখার চেষ্টা করছে ।
ভারত মহাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদের উগ্রতা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে । একটা গোষ্ঠী জেনে শুনেই উগ্রবাদী শাসকদের বারবার ক্ষমতায় আনছে । তার অর্থ মানুষ নিজেরাই চাইছে তাদের মধ্যে যারা সংখ্যা লঘু তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে । কিন্তু এর শেষ কোথাও, কোথাও গিয়ে থামবে এই মাতম কান্ড কারো জানা নেই । অনেকটা লক্ষ্য হীন ভাবে তীর ছোঁড়ার মতো ,কোথায় যাবে কাকে আঘাত হানবে,কি হবে এর পরিনতি, কারোই জানা নেই । এই শতাব্দী ছিল সমতা আর মানবতার, দারিদ্র্য বিমোচন আর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কিন্তু অনেকটা লক্ষ্য হীন ভাবে মানুষ পশ্চাতের অন্ধকার শতাব্দী গুলোর মতো আচরণ করছে ।
প্রতিটি দেশ এবং জাতি গোত্রে বৈষম্য আর উগ্রবাদী বাড়ছে । ধর্মীয় উগ্রবাদী, জাতীয় উগ্রবাদী, বর্ণ উগ্রবাদী, ভাষার উগ্রবাদী, ধনী গরিবের বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে । সমাজে আজ সুশীল এবং সাম্যবাদী মানুষ গুলো পিছিয়ে পড়ছে । যারা মানবতা এবং নৈতিকতা নিয়ে চিন্তা করে তারা আজ পদে পদে অপমান হচ্ছে । শক্তির বিচারে যারা একটু এগিয়ে আছে তারা নিম্ন মানের মানুষ গুলোকে নিজেদের আয়ত্তে রাখার চেষ্টা করছে ।
ভারত মহাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদের উগ্রতা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে । একটা গোষ্ঠী জেনে শুনেই উগ্রবাদী শাসকদের বারবার ক্ষমতায় আনছে । তার অর্থ মানুষ নিজেরাই চাইছে তাদের মধ্যে যারা সংখ্যা লঘু তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে । কিন্তু এর শেষ কোথাও, কোথাও গিয়ে থামবে এই মাতম কান্ড কারো জানা নেই । অনেকটা লক্ষ্য হীন ভাবে তীর ছোঁড়ার মতো ,কোথায় যাবে কাকে আঘাত হানবে,কি হবে এর পরিনতি, কারোই জানা নেই । এই শতাব্দী ছিল সমতা আর মানবতার, দারিদ্র্য বিমোচন আর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কিন্তু অনেকটা লক্ষ্য হীন ভাবে মানুষ পশ্চাতের অন্ধকার শতাব্দী গুলোর মতো আচরণ করছে ।
সুড়সুড়ি
আনোয়ার নূরুল ইসলাম
১৭/শ্রাবণ/১৪২৬ | দূর্গাপুর ।
সুড়সুড়ি আর দিওনা মশাই
তুমি ক্ষমতায় গেলে আমার কি লাভ ।
আমি মানুষ আমার পঞ্চপ্রান পরিচয়ে থাকতে দাও
আমি কারো খাই না,কারো কথায় করবো না পাত ।
হতচ্ছাড়া জাতি মোরা ধর্মের নামে করি কুৎসা রটনা
কোন ধর্মই এমন মানুষ হত্যার সমর্থন করে না ।
মানুষের জন্য ধর্ম,মানুষ করিয়াছে বুকের ভেতর ধারন
মানুষই যদি বেঁচে না থাকে কে করিবে ধর্ম পালন ।
রত্নে ভরা ভারতবর্ষ অযত্নে ফসিল্
স্বার্থপর মহলগনের সবই হলো হাসিল ।
একটু একটু করে উঠে আসা মানুষ গুলোর সাথে
খেলছে তারা পুতুলের মতো,মারছে মানুষ নির্মম আঘাতে ।
করছে রক্তপাত দিবালোকে চোখের সামনে যত্রতত্র
কেউ দেখেও দেখেনা, করছে না প্রতিবাদ প্রতিহত ।
এই ভূখণ্ড নানান ধর্মে বর্ণে চিরকাল মহান
সবাই থাকুক স্বাধীন, নিয়ে সবার মান সম্মান ।
আনোয়ার নূরুল ইসলাম
১৭/শ্রাবণ/১৪২৬ | দূর্গাপুর ।
সুড়সুড়ি আর দিওনা মশাই
তুমি ক্ষমতায় গেলে আমার কি লাভ ।
আমি মানুষ আমার পঞ্চপ্রান পরিচয়ে থাকতে দাও
আমি কারো খাই না,কারো কথায় করবো না পাত ।
হতচ্ছাড়া জাতি মোরা ধর্মের নামে করি কুৎসা রটনা
কোন ধর্মই এমন মানুষ হত্যার সমর্থন করে না ।
মানুষের জন্য ধর্ম,মানুষ করিয়াছে বুকের ভেতর ধারন
মানুষই যদি বেঁচে না থাকে কে করিবে ধর্ম পালন ।
রত্নে ভরা ভারতবর্ষ অযত্নে ফসিল্
স্বার্থপর মহলগনের সবই হলো হাসিল ।
একটু একটু করে উঠে আসা মানুষ গুলোর সাথে
খেলছে তারা পুতুলের মতো,মারছে মানুষ নির্মম আঘাতে ।
করছে রক্তপাত দিবালোকে চোখের সামনে যত্রতত্র
কেউ দেখেও দেখেনা, করছে না প্রতিবাদ প্রতিহত ।
এই ভূখণ্ড নানান ধর্মে বর্ণে চিরকাল মহান
সবাই থাকুক স্বাধীন, নিয়ে সবার মান সম্মান ।
সংক্ষিপ্ত পঙক্তি বিশেষ
কবিতার শেষ চরণ ।
■ একটি সত্য ঘটনা ।
মানুষ মানুষের জন্য । মানুষ নিজেদের সম্পদ সর্বশক্তি ব্যয় করে মানবতাকে বাচায়, মানুষের জীবন বাঁচায়। আর কিছু ধার্মিক নামের মানুষ স্বর্গ লাভের আশায় প্রতিদিন গনপিটুনি দিয়ে মানুষ মারছে । ওরা বলে এটাই নাকি ধর্ম রক্ষার আন্দোলন ।
ক্রিস এবং রেগিনা ক্যাট্রামবোন যুগল। তারা একটি বড় জাহাজ কিনেছেন। কিন্তু তা ঘুরে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে নয়। বরং সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের উদ্ধারের জন্য। হ্যাঁ, একটু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, সাগরে ভাসমান হাজারো অভিবাসীদের জন্য নিজের পকেটের টাকা দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ক্রিস। তার স্ত্রীকে নিয়ে কিনেছেন ১৩০ ফুটের একটি উদ্ধারকারী জাহাজ।
গত গ্রীষ্মে আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পাড়ি জমানোর সময় হাজার হাজার মানুষ জাহাজ ডুবি বা না খেয়ে সাগরে মারা যায় । এমন মানবীক ঘটনা নাড়া দিয়ে যায় ক্রিসকে । সেসময়ই সিদ্ধান্ত নেন উদ্ধারকারী জাহাজ কেনার । যুক্তরাষ্ট্রের এ নাগরিক তার ইতালিয়ান স্ত্রীকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন মাইগ্র্যান্ট অফশোর এইড স্টেশন (Migrant Offshore Aid Station (MOAS) । তাদের জাহাজের নাম দেন ফিনিক্স। ২০ জন জাহাজ কর্মী এবং তাদের কন্যা মারিয়া লুসিয়াকে নিয়ে নেমে যান সাগরে, মানবতার সেবায়। উদ্ধার করতে থাকেন অসহায় মানুষদের।
ক্রিস এবং রেগিনা ক্যাট্রামবোন যুগল। তারা একটি বড় জাহাজ কিনেছেন। কিন্তু তা ঘুরে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে নয়। বরং সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের উদ্ধারের জন্য। হ্যাঁ, একটু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, সাগরে ভাসমান হাজারো অভিবাসীদের জন্য নিজের পকেটের টাকা দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ক্রিস। তার স্ত্রীকে নিয়ে কিনেছেন ১৩০ ফুটের একটি উদ্ধারকারী জাহাজ।
গত গ্রীষ্মে আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পাড়ি জমানোর সময় হাজার হাজার মানুষ জাহাজ ডুবি বা না খেয়ে সাগরে মারা যায় । এমন মানবীক ঘটনা নাড়া দিয়ে যায় ক্রিসকে । সেসময়ই সিদ্ধান্ত নেন উদ্ধারকারী জাহাজ কেনার । যুক্তরাষ্ট্রের এ নাগরিক তার ইতালিয়ান স্ত্রীকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন মাইগ্র্যান্ট অফশোর এইড স্টেশন (Migrant Offshore Aid Station (MOAS) । তাদের জাহাজের নাম দেন ফিনিক্স। ২০ জন জাহাজ কর্মী এবং তাদের কন্যা মারিয়া লুসিয়াকে নিয়ে নেমে যান সাগরে, মানবতার সেবায়। উদ্ধার করতে থাকেন অসহায় মানুষদের।
■ কিছু গুনিজনের উক্তি ।
উক্তি : আসবার কালে কি জাত ছিলে, এসে তুমি কি জাত নিলে । লালন শাহ।
উক্তি : মানুষের জন্য যাহা কল্যাণকর তাহাই ধর্ম । যে ধর্ম পালন করতে গিয়ে মানুষের অকল্যাণ করতে হয় , তাহা ধর্মের কুসংস্কার মাত্র । মানুষের জন্য ধর্ম , ধর্মের জন্য মানুষ নয় । প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ ।
উক্তি : হিন্দু না ওরা মুসলিম , এই জিজ্ঞাসে কোন জন হে । কান্ডারী বল , ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র । কাজী নজরুল ইসলাম ।
বিশেষ এই তিনটি উক্তি তুলে ধরা হলো ,যাতে একটু হলেও বোধোদয় হয়,সেই নির্বোধ মানুষ গুলোর ।
উক্তি : আসবার কালে কি জাত ছিলে, এসে তুমি কি জাত নিলে । লালন শাহ।
উক্তি : মানুষের জন্য যাহা কল্যাণকর তাহাই ধর্ম । যে ধর্ম পালন করতে গিয়ে মানুষের অকল্যাণ করতে হয় , তাহা ধর্মের কুসংস্কার মাত্র । মানুষের জন্য ধর্ম , ধর্মের জন্য মানুষ নয় । প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ ।
উক্তি : হিন্দু না ওরা মুসলিম , এই জিজ্ঞাসে কোন জন হে । কান্ডারী বল , ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র । কাজী নজরুল ইসলাম ।
বিশেষ এই তিনটি উক্তি তুলে ধরা হলো ,যাতে একটু হলেও বোধোদয় হয়,সেই নির্বোধ মানুষ গুলোর ।
THANK YOU ALL.
A N I .
No comments