ইসলাম ধর্মের মূল মন্ত্র
A N I |
ANOWAR NURUL ISLAM|
THE MESSAGE OF ISLAM | ইসলাম ধর্মের বাণী |
ANOWAR NURUL ISLAM|
THE MESSAGE OF ISLAM | ইসলাম ধর্মের বাণী |
■ প্রারম্ভিকা |
ইসলাম একটি আরবী শব্দ। শব্দটির অভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আত্মসমর্পন করা, আনুগত্য করা, শান্তির পথে চলা ও মুসলমান হওয়া। ইসলামের পারিভাষিক সংজ্ঞা হলো- আল্লাহর অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা ও তার নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পন করা। বিনা দ্বিধায় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তার দেওয়া বিধান অনুসারে জীবন যাপন করা নামই ইসলাম। যিনি ইসলামের বিধান মেনে জীবন পরিচালনা করবেন, তিনি মুসলিম বা মুসলমান। ইসলাম ধর্ম আল্লাহপাকের মনোনীত একমাত্র দীন। একটি পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এ ব্যবস্থার আলোকে একজন মুসলাম জীবন যাপন করতে সক্ষম। ইসলামে রয়েছে সমাজ, রাষ্ট্র ও অর্থ ব্যবস্থা। এমনকি আরো রয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা। মানব চরিত্রের উৎকর্ষ সাধন, ন্যায়নীতি ও সুবিচারর ভিত্তিক শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ গতিশীল সুন্দর সামজ গঠন ও সংরক্ষণে ইসলামের কোনো বিকল্প নেই। পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, ‘ইসলামই আল্লাহর একমাত্র মনোনীত দীন।’ (সূরা : আল ইমরান, আয়াত : ১৯)
■ ইসলাম ধর্মের মূল বার্তা |
ইসলাম ধর্মের মূল কথা – আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় তার কোন শরিক নেই।
এখন দেখা যাক, মোহাম্মদ আপাত: এ কথা বলে সূক্ষ্মভাবে কি প্রচার করে গেছেন। কোরানে আছে-
এখন দেখা যাক, মোহাম্মদ আপাত: এ কথা বলে সূক্ষ্মভাবে কি প্রচার করে গেছেন। কোরানে আছে-
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য।সূরা নিসা, ০৪: ১৩
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম। সূরা নিসা, ০৪: ৫৯
আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম। সূরা নিসা, ০৪: ৬৯
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম। সূরা নিসা, ০৪: ৫৯
আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম। সূরা নিসা, ০৪: ৬৯
এরকম বহু আয়াতে একই কথা বলা হয়েছে। তা হলো – আল্লাহ ও তার রসুলের আনুগত্য কর।
কিন্তু বাস্তবে রসুলের হুকুমই পালনই যে আল্লাহর হুকুম পালন তার চুড়ান্ত বাস্তবায়ন দেখা যায় নিচের আয়াতে -
যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। সূরা নিসা, ০৪: ৮০
বিষয়টাকে একটা সমীকরণের সাহায্যেও প্রমান করা যেতে পারে, উপরোক্ত ০৪: ৮০ আয়াত মতে,
মোহাম্মদের হুকুম = আল্লাহর হুকুম বা, মোহাম্মদ + হুকুম = আল্লাহ + হুকুম
উভয় পক্ষ থেকে হুকুম শব্দটা বাদ দিলে সমীকরণ টি দাড়ায় এরকম- মোহাম্মদ= আল্লাহ ( প্রমানিত)
■ কাবা ঘরের দিকে কেন নামাজ পড়তে হবে ?
কাবার মধ্যে কি আল্লাহ বাস করে ? না সেখানে আল্লাহ বাস করে না।আবার কোরান এ কথাও বলে না যে আল্লাহর সর্বত্র বিরাজমান। কারন কোরাআন বলছে,
তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের অন্তর্বর্তী সবকিছু ছয়দিনে সৃস্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি পরম দয়াময়। তাঁর সম্পর্কে যিনি অবগত, তাকে জিজ্ঞেস কর। সূরা- ফুরকান-২৫:৫৯(মক্কায় অবতীর্ণ)
আল্লাহ যিনি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি আরশে বিরাজমান হয়েছেন। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন অভিভাবক ও সুপারিশকারী নেই। এরপরও কি তোমরা বুঝবে না?সূরা-সাজদা, ৩২: ০৪ (মক্কায় অবতীর্ণ)
■ পর্যালোচনা ।
আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা এবং পর্বতমালাকে পেরেক? সূরা আন নাবা-৭৮:৬-৭ (মক্কায় অবতীর্ণ)
তিনি খুঁটি ব্যতীত আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেছেন; তোমরা তা দেখছ। তিনি পৃথিবীতে স্থাপন করেছেন পর্বতমালা, যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে ঢলে না পড়ে এবং এতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সর্বপ্রকার জন্তু। আমি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছি, অতঃপর তাতে উদগত করেছি সর্বপ্রকার কল্যাণকর উদ্ভিদরাজি। সূরা লোকমান-৩১:১০(মক্কায় অবতীর্ণ)
অর্থাৎ পৃথিবীতে পর্বতমালা আল্লাহ তৈরী করেছেন পেরেকের মত করে। পেরেক দিয়ে যেমন কোন কিছু গেথে দেয়া হয় শক্ত করে পর্বত সেভাবেই সমতল পৃথিবীকে গেথে রেখেছে যাতে পৃথিবী কাত হয়ে যেতে না পারে সেকারনেই আল্লাহ পরিস্কার ভাষায় বলছে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুকে না পড়ে, কারন তা হলে আমরা সবাই গড়িয়ে পড়ে যাব।আল্লাহ বড়ই দয়ালু আমরা পৃথিবী থেকে পড়ে যাই তা সে চায় না। কিন্তু কার সাথে পৃথিবীকে গেথে রেখেছে তা পরিস্কার নয়।এছাড়াও সে দুনিয়াতে অনেক রাস্তা ঘাট তৈরী করে রেখেছে যাতে মানুষ জন চলা ফিরা করতে পারে।বর্তমানে দরিদ্র মুসলিম দেশ গুলো ( বিশেষ করে বাংলাদেশ) কেন যে খামোখা রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট এসব তৈরী করার জন্য ইহুদি নাসারা কাফেরদের কাছে হাত পাতে বোঝা দুস্কর, তার চেয়ে বরং আল্লাহর কাছে আর্জি জানালেই তো পারে। অতীতে যেমন সে রাস্তা ঘাট তৈরী করে দিয়েছিল না চাইতেই , আর এখন সবাই মিলে তার কাছে প্রার্থনা জানালে সে কি রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট তৈরী করে দেবে না
THANK YOU ALL.
A N I .
No comments